• ঢাকা শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo

ম খা আলমগীর, মন্নুজান ও ২ এমপির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

আরটিভি নিউজ

  ২১ অক্টোবর ২০২৪, ২২:৩৩
ছবি: সংগৃহীত

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহিউদ্দিন খান (ম খা) আলমগীর, সাবেক শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান ও তার ভাই শাহাবুদ্দিন আহমেদ ও ভাতিজি শামীমা সুলতানা হৃদয়ের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

এ ছাড়া সাবেক সংসদ মো. সাদেক খান, তার স্ত্রী ফেরদৌসী খান, সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আশরাফ খান, স্ত্রী আফরোজ সুলতানার দেশত্যাগেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

সোমবার (২১ অক্টোবর) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত তাদের বিরুদ্ধে এ আদেশ দেন।

আবেদনটি করেন দুদকের পরিচালক আব্দুল মাজেদ। আবেদনের ওপর শুনানি করেন দুদকের আইনজীবী মীর মোহাম্মদ আলী সালাম।

ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীরের বিরুদ্ধে আবেদনে বলা হয়, ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীর মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে সাবেক দ্য ফারমার্স ব্যাংক লি. জামালপুরের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক লি.) বকশীগঞ্জ শাখার ৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২), ৪(৩) ধারায় অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ততার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গিয়েছে। মহিউদ্দিন খান আলমগীর দেশ ছেড়ে বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। সুতরাং, অনুসন্ধানের স্বার্থে তার বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন।

মন্নুজানের বিরুদ্ধে আবেদনে বলা হয়, বিগত সরকারের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকার এমপিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অকল্পনীয় অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও তার ঘনিষ্ঠজন দেশ ছেড়ে বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন বলে অনুসন্ধানকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা একান্ত প্রয়োজন। শুনানি শেষে আদালত তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

সাদেক খানের আবেদনে বলা হয়েছে, সাদেক খানের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, ভূমি দস্যুতাসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকরি অর্থ আত্মসাৎ করে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি দল টিম গঠন করা হয়েছে। সাদেক খান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-১৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও তৎকালীন ৪৭ নম্বর (বর্তমানে ৩৪ নম্বর) ওয়ার্ডের চারবারের কাউন্সিলর। এসব দায়িত্বে থেকে তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিজ নামে ও স্ত্রীর নামে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে জানা যায়।

‘অনুসন্ধানকালে গোপন সূত্রে জানা যায় যে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তার স্ত্রীসহ বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কাজ ব্যাহত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য তাদের বিদেশ গমন রহিত করা একান্ত প্রয়োজন।’

একই কারণ দেখিয়ে আনোয়ারুল আশরাফ খানের বিষয়ে বলা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নামে আত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগটি তিন সদস্যের দল অনুসন্ধানাধীন করছে। তার বিরুদ্ধে অবৈধ আয়ে নিজ এলাকায় আনুমানিক ৫১ লাখ টাকার কৃষি জমি, প্রায় এক কোটি ১৭ লাখ টাকার ফ্ল্যাট, প্লট, ভাটারা থানার জোয়ারসাহারা মৌজায় প্রায় ৪৮ লাখ টাকার ফ্ল্যাট এবং রাজউক এর উত্তরা ৩য় প্রকল্পের প্রায় ৩২ লাখ টাকার প্লট এবং স্ত্রী আফরোজা সুলতানার নামে বিভিন্ন স্থানে প্রায় এক কোটি টাকার প্লট, ফ্ল্যাট কেনার অভিযোগ রয়েছে।

আরটিভি/একে-টি

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
সাবেক ওসি প্রদীপের স্ত্রীর জামিন চেম্বারে স্থগিত
বড়দিন-থার্টি ফার্স্টে আতশবাজি-ফানুস ওড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা
রাষ্টের স্বার্থসংশ্লিষ্ট মামলার সঙ্গে জড়িতদের ছাড় নয়: দুদক চেয়ারম্যান
দুদক চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের আয়-সম্পদের তথ্য প্রকাশের আহ্বান