রাজধানীতে শেখ হাসিনা-রেহানাসহ ১৬৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনতাকে দমনে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা ও গুমের ঘটনায় রাজধানীতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাসহ ১৬৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে আদাবর থানায় মো. সাহিদ নামে একজন বাদী হয়ে হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।
এ মামলায় শেখ সেলিম, ফজলে নূর তাপস, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানককেও আসামি করা হয়েছে।
আদাবর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঁইয়া আরটিভিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আদাবর থানায় শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাসহ ১৬৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।
আরটিভি/একে
মন্তব্য করুন
জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের কথা ভাবা হচ্ছে না: ধর্ম উপদেষ্টা
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের কথা ভাবা হচ্ছে না। বিতর্ক সৃষ্টি হয় এমন কিছু করবে না অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় রাজশাহী ইসলামিক ফাউন্ডেশনে সকল ধর্মের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়ে যোগ দেওয়ার পূর্বে তিনি এ কথা বলেন।
ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলা প্রসঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, মসজিদ, মন্দির, মাজারে হামলা গর্হিত কাজ, ধর্মীয় উপাসনালয়ে যারা হামলা চালায় তারা মানবতার শত্রু, ক্রিমিনাল। প্রচলিত আইনে তাদের বিচার করা হবে। এ ছাড়াও দুর্গাপূজার নিরাপত্তায় স্থানীয় সাধারণ জনগণের পাশাপাশি মাদরাসার ছাত্রদের পূজার সঙ্গে সম্পৃক্ত করে মন্দির পাহারা দেওয়া হবে। যেন কোনো ধরনের হামলা বা নাশকতা না হয়। মাদরাসার ছাত্ররা কোনো ধরনের জঙ্গিবাদের সঙ্গে ছিলও না। এটা পূর্বের সরকারের ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ওপর হিন্দু মহাসভার হামলার আশঙ্কার খবরে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, আমরা প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চাই। আমাদের ক্রিকেট দলের ওপর ভারতে হামলার খবর শুনছি। যেহেতু বিসিবি আছে, তারা এ বিষয়ে করণীয় ঠিক করবে।
তিনি আরও বলেন, পট পরিবর্তনের পর কিছু সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িতে যেমন হামলা হয়েছে, তেমনি মুসলমানদের বাড়িতেও হয়েছে। এটাকে ভিন্নভাবে দেখার সুযোগ নেই। এ সরকার সবার সরকার, সবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে বদ্ধপরিকর।
কেন হিন্দু কর্মকর্তাদের নামের তালিকা, জানাল পাট মন্ত্রণালয়
শারদীয় দুর্গোৎসব ও বিজয়া দশমীতে বঙ্গভবনে অনুষ্ঠিতব্য শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণের জন্য সনাতন ধর্মাবলম্বীদের তালিকা চাওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। তবে প্রথম চিঠিতে কোথাও শারদীয় দুর্গোৎসব ও বিজয়া দশমীর বিষয়টি উল্লেখ না থাকায় বিভ্রান্তি দেখা দেয়। এই ভুলের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে মন্ত্রণালয়।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আসিফ আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উক্ত পত্রে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সূত্র উল্লেখপূর্বক রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের পত্রের সংযুক্তি হিসেবে প্রেরণ করা হলেও পত্রের বিবরণে শারদীয় দুর্গোৎসব ও বিজয়া দশমী ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে বঙ্গভবনে অনুষ্ঠিতব্য ও শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানের কথাটি উল্লেখ করা হয়নি। ফলে পত্রটির বিষয়ে বেশ বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে পাঠানো পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দপ্তর/সংস্থায় প্রেরিত পত্রে শারদীয় দুর্গোৎসব ও বিজয়া দশমী ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে বঙ্গভবনে অনুষ্ঠিতব্য শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানের বিষয়টি উল্লেখ না করার কারণে সৃষ্ট বিভ্রান্তির জন্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় আন্তরিক ভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে। ইতোমধ্যেই বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
প্রসঙ্গত, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের থেকে হিন্দু ধর্মাবলম্বী কর্মকর্তাদের তালিকা চেয়ে গত ২৭ আগস্ট জারি করা চিঠি নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। কী কারণে এ তালিকা চাওয়া হয়েছে, এর উদ্দেশ্য নিয়ে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে আজ আবার সংশোধনী দিয়ে চিঠি ইস্যু করে এই মন্ত্রণালয়।
জুলাই গণহত্যা / বিচারে স্বচ্ছতার জন্য সব করবে সরকার: তাজুল ইসলাম
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সহিংসতার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হওয়া গণহত্যা মামলার বিচারকার্যে স্বচ্ছতা রাখার জন্য বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার প্রয়োজনীয় সবকিছু করবে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
শেখ হাসিনার বিচার সরাসরি সম্প্রচার করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সরকারের উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকে; সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এ কথা জানান তিনি।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর বলেছেন, বিচারে স্বচ্ছতার জন্য সবকিছু করবে বর্তমান সরকার।
মামলার অগ্রগতি নিয়ে অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম জানান, হত্যাযজ্ঞের তথ্য চেয়ে ইতোমধ্যে দেশের সব জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জনদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। কবরস্থান কর্তৃপক্ষের কাছেও তথ্য চাওয়া হয়েছে।
গত ১৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সংঘটিত হত্যা, গণহত্যা ও নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১০ ব্যক্তি ও সংগঠনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে গত ২১ আগস্ট একই ট্রাইব্যুনালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৭৭ জনের নামে গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধে আরেকটি অভিযোগ দায়ের করা হয়।
আরটিভি/এসএইচএম
ইতালির ভিসা আবেদনকারীদের জন্য সুখবর
ভিসা প্রত্যাশীদের হয়রানি ও ভোগান্তি লাঘব এবং ভিসা প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করতে টাস্কফোর্স গঠনের কথা জানিয়েছে ইতালি দূতাবাস।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ঢাকায় অবস্থিত ইতালির দূতাবাস।
এতে ইতালি দূতাবাস জানিয়েছে, ভিসা প্রত্যাশীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার আবেদনকারীদের কয়েকজন প্রতিনিধিকে নিয়ে দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন বৈঠক করে। বৈঠকে ইতালিতে কাজের ভিসা প্রক্রিয়াকরণে বিদ্যমান বিলম্বের জন্য আইনি, প্রযুক্তিগত এবং লজিস্টিক বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয় দূতাবাস। বৈঠকে প্রক্রিয়াকৃত আবেদনের আউটপুট বাড়ানোর জন্য দূতাবাস অঙ্গীকারের আশ্বাস দিয়েছে এবং একটি ডেডিকেটেড টাস্কফোর্স গঠনসহ রোমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে গ্রহণ করা কিছু উদ্যোগ উপস্থাপন করেছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দূতাবাস জানিয়েছে, ভিসা প্রক্রিয়াকরণের সঙ্গে ভিএফএস গ্লোবালের কিংবা তাদের কর্মচারী কারও সম্পৃক্ততা নেই। ঢাকা এবং বিশ্বের অন্যান্য স্থানে ভিএফএস গ্লোবাল ভিসা অনুমোদন বা প্রত্যাখ্যান বা তার সময় সংক্রান্ত কোনো সিদ্ধান্তে অংশ না নিয়ে এবং ভিসার আবেদনপত্র ফাইল করার অ্যাপয়েন্টমেন্ট সময়সূচিতে অংশ না নিয়ে ইতালির দূতাবাসের পক্ষে এবং কঠোর নির্দেশের অধীনে কাজ করে। ভিএফএস গ্লোবাল বা এর কর্মীদের কোনো সম্পৃক্ততা ছাড়াই আবেদনকারীদের জমা দেওয়া তথ্যের ওপর যথাযথ চেক এবং নিয়ন্ত্রণের পর দূতাবাস দ্বারা অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেওয়া হয়। ভিসা ইস্যু করা রাষ্ট্রের একচেটিয়া ক্ষমতার আওতায় পড়ে।
এতে আরও বলা হয়েছে, অতএব, বাংলাদেশি নাগরিকদের ইতালীয় কাজের ভিসা মুক্তি বা অস্বীকার সংক্রান্ত সব সিদ্ধান্ত, সেইসঙ্গে তাদের সময়, পদ্ধতি, নিয়ন্ত্রণ এবং সময়সীমা, ইতালির আইন দ্বারা একচেটিয়াভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়। দূতাবাসের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ এবং আপিল প্রযোজ্য ইতালির আইন ও প্রবিধান অনুসারে ইতালিতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে উপস্থাপন করা যেতে পারে।
এর আগে ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করতে সোমবার সকালে বাংলাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়।
পাওনা ৮০ কোটি ডলার চেয়ে ড. ইউনূসকে চিঠি দিলেন আদানি
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের কাছে পাওনা ৮০ কোটি ডলার চেয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে চিঠি লিখেছেন ভারতের আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি।
ভারতীয় গণমাধ্যম ইকোনমিক টাইমসের বরাতে এ খবর প্রকাশ করেছে হিন্দুস্তান টাইমস। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দ্রুত ৮০ কোটি ডলারের বকেয়া পরিশোধের জন্য চিঠিতে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারপ্রধানের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন ভারতের শীর্ষ এই ব্যবসায়ী।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই চিঠিতে গৌতম আদানি লিখেছেন, আমরা যখন বাংলাদেশকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বজায় রাখছি, সেই সময়ে ঋণদাতারা আমাদের ওপর কঠোর হচ্ছে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কাছে থেকে আমরা যে ৮০ কোটি ডলার পাই, সেই অর্থ দ্রুত পরিশোধ করার জন্য হস্তক্ষেপ করতে আপনাকে অনুরোধ করছি।
বিদ্যুৎ বিক্রি বাবদ যে পাওনা হয়, তা নিয়মিতভাবে পরিশোধ করার জন্যও চিঠিতে অনুরোধ জানিয়েছেন গৌতম আদানি।
ঝাড়খন্ডের গড্ডায় অবস্থিত এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াটের একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আদানি শিল্পগোষ্ঠী। গত জুন থেকে এ বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, গড্ডার ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদিত বিদ্যুতের সবটুকুই বাংলাদেশে সরবরাহ করে আদানি গ্রুপ।
গৌতম আদানি বলেন, একটি আধুনিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও প্রয়োজনীয় সঞ্চালনব্যবস্থা তৈরি করতে ২০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে আদানি পাওয়ার। রূপচাঁদা, মেইজান ও ফরচুনের মতো জনপ্রিয় ভোজ্যতেল ও উন্নত মানের চালের ব্র্যান্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশের খাদ্যনিরাপত্তায়ও ভূমিকা রাখছে আমার কোম্পানি।
চিঠিতে তিনি বলেন, আপনার দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা ও অবকাঠামো উন্নয়নের প্রতি আমি আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনরায় ব্যক্ত করছি। এ সময় বাংলাদেশ সরকার, স্থানীয় জনগোষ্ঠী ও অংশীজনের কাছ থেকে তার কোম্পানি যে সমর্থন ও সহযোগিতা পেয়ে এসেছেন, তারও প্রশংসা করেন ভারতীয় এ ধনকুবের।
ওমরাহ যাত্রীদের সুখবর দিলো বিমান বাংলাদেশ
বাংলাদেশ থেকে জেদ্দা ও মদিনা রুটে ওমরাহ যাত্রীদের জন্য টিকিটের দাম কমিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সংস্থাটির জনসংযোগ বিভাগের মহাপরিচালক বোসরা ইসলামের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ওমরাহ যাত্রীদের জন্য বাংলাদেশ থেকে জেদ্দা ও মদিনা রুটে টিকিটের মূল্য কমানো হয়েছে। একইসঙ্গে টিকিটপ্রাপ্তি সহজলভ্য করতে সকল বুকিং ক্লাস বা আরবিডি উন্মুক্ত করা হয়েছে।
আগে ওমরাহর জন্য দুটি নির্দিষ্ট ফেয়ার ক্লাস বা আরবিডি ব্যবহার করা হতো। সকল বুকিং ক্লাস উন্মুক্ত হওয়ায় ওমরাহ যাত্রীরা সাধারণ যাত্রীদের মতো যেকোনো আরবিডিতে ওমরাহ টিকিট কিনতে পারবেন।
যেসব ওমরাহ যাত্রী আগে টিকিট ক্রয় করবেন তারা সর্বনিম্ন ভাড়ার সুবিধা পাবেন। আর যেসব যাত্রী ওমরাহ করার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে প্রথমে মদিনায় গমন করবেন তাদের জন্য আকর্ষণীয় মূল্য ছাড় দেওয়া হবে।
লোডশেডিংয়ের ভোগান্তি কমবে কবে, জানালেন বিদ্যুৎ উপদেষ্টা
আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে বিদ্যুতের বর্তমান পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) ফোরাম ফর অ্যানার্জি রিপোটার্স বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ আশা প্রকাশ করেন।
চলমান লোডশেডিং সম্পর্কে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, বড়পুকুরিয়ায় কারিগরি সমস্যা হয়েছে যা দ্রুত মেরামত করা হচ্ছে; রামপাল পুনরায় চালু হয়েছে; আদানির সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে এবং দ্রুত গ্যাস আমদানি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ফলে আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে বিদ্যুতের বর্তমান অবস্থার উন্নতি হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের সঙ্গে অন্য সরকারের পার্থক্য হলো, বর্তমান সরকার কোনো পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত নয়, এই সরকার বহু ছাত্র-জনতার রক্ত ও ত্যাগের বিনিময়ে গঠিত সরকার।
দায়িত্ব গ্রহণের পর অনেকগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন জানিয়ে ফাওজুল কবির খান বলেন, ২০১০ সালের বিশেষ আইন স্থগিত ও বিআরসি আইনের ‘৩৪ ক’ ধারা বাতিল, তেলের দাম কমানো, কোম্পানির চেয়ারম্যান থেকে সচিবদের অপসারণ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের লুটপাটের কাঠামো ভেঙে দেওয়া, বদলি ও নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধের জন্য বদলি ও নিয়োগের নির্দিষ্ট নীতিমালা তৈরিসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। সব ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে যাতে কাজ পায় সেটা নিশ্চিত করারও নির্দেশনা দিয়েছি। ওপেন টেন্ডারে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য সাংবাদিকদের সহযোগিতা প্রয়োজন।
উপদেষ্টা জানান, তার কোনো পছন্দের লোক নেই। তিনি কোনো পরিসংখ্যানে বিশ্বাস করেন না, মানুষের সত্যিকারের কী উপকার হলো তার মাধ্যমে কাজের বিচার করা হবে। উন্নয়ন বিচার করা হবে বাস্তব অবস্থা দিয়ে। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য দিয়ে সহযোগিতার আহ্বান জানান।