সুপ্রিম কোর্ট থেকে ফেরার পথে চার বিচারপতির গাড়িতে হামলা
সুপ্রিম কোর্ট থেকে বাসভবনে ফেরার পথে চার বিচারপতির গাড়িতে হামলা হয়েছে।
রোববার (৪ আগস্ট) বিকেলে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এর আগে, শনিবার (৩ আগস্ট) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি তোলা হয়। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী রোববার সকাল থেকে অসহযোগ কর্মসূচি পালন শুরু করে আন্দোলনকারীরা। আন্দোলন ঘিরে দেশের বিভিন্ন স্থানে চলছে সংঘর্ষ। রাজধানীসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করছেন আন্দোলনকারীরা।
পাল্টা কর্মসূচিতে মাঠে নেমেছে আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোও।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকার কতদিন থাকবে, জানালেন আসিফ নজরুল
অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, সংস্কারের আকাঙ্ক্ষা এবং নতুন নির্বাচনের আকাঙ্ক্ষার মধ্যে সমন্বয় করে যতদিন থাকা দরকার ততদিনই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় থাকবে।
শনিবার (১০ আগস্ট) সকালে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে সকালে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব হাফিজ আহমেদ চৌধুরীসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা আসিফ নজরুলকে অভ্যর্থনা জানান।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কতদিন থাকবে- সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটার মেয়াদের ব্যাপারে এখনও কোনো কথা হয়নি। একটা জিনিস মাথায় রাখবেন কাইন্ডলি সেটা হচ্ছে, রাজনৈতিক দলগুলোর প্রত্যাশা থাকবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন, আবার এ দেশের সাধারণ মানুষের যে সংস্কার আকাঙ্ক্ষা, সেখানে প্রত্যাশা থাকবে এ সরকার যেন জরুরি কিছু সংস্কার করে যায়।
পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধান বিচারপতি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবির মুখে অবশেষে পদত্যাগের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। আজ সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কথা বলে আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপ নেবেন তিনি।
শনিবার (১০ আগস্ট) অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের সঙ্গে কথা বলার পর তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এর আগে, আজ সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান বিচারপতির নির্দেশনা অনুসারে, ফুল কোর্ট সভা ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। সকাল সোয়া ১০টার ফুল কোর্ট সভা বন্ধ করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
ফুল কোর্ট সভা নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া তার ফেসবুক পেজে সকালে স্ট্যাটাস দেন। তিনি বিনা শর্তে প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগ করতে ও ফুল কোর্ট মিটিং বন্ধ করার দাবি জানান স্ট্যাটাসে।
ওই পোস্টে আসিফ মাহমুদ জানান, ফ্যাসিস্ট হাসিনা কর্তৃক নিয়োগকৃত প্রধান বিচারপতিসহ অ্যাপিলেড ডিভিশনের সাতজন বিচারপতির পদত্যাগ চাচ্ছি আমরা। জেলা জজকোর্টের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র অন্দোলনের সবার প্রতি আহ্বান, কোনো জেলায় জজকোর্টের দিকে অবস্থান নেবেন না।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের দাবির বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল আজ দুপুরে সচিবালয়ে বলেন, গণ-আন্দোলন থেকে পদত্যাগের দাবি উঠলে সেটিকে কতটুকু সম্মান প্রদর্শন করতে হয়, সেটা প্রধান বিচারপতি বুঝতে পারবেন বলে প্রত্যাশা থাকবে।
পদত্যাগপত্রে যা লিখেছেন সাবেক বিচারপতি ওবায়দুল হাসান
ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে প্রধান বিচারপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন ওবায়দুল হাসান।
শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দেন তিনি।
পদত্যাগ পত্রে ওবায়দুল হাসান লিখেছেন, ‘সুপ্রিমকার্ট বিল্ডিং এবং এর রেকর্ডসমূহ রক্ষা, কোর্ট প্রাঙ্গণ রক্ষা, বিচারপতিদের বাড়িঘর, জাজেজ টাওয়ার রক্ষা, বিচারপতিগণকে শারীরিক হেনস্থা থেকে রক্ষা করা এবং জেলা জজ কোর্টগুলো ও রেকর্ড রুমসমূহ রক্ষার স্বার্থে আমাকে এই সিদ্ধান্ত নিতে হলো।’
এর আগে, শনিবার সকালে প্রধান বিচারপতিসহ অন্যান্যদের পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। পরে বিপুল শিক্ষার্থী সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে এসে জড়ো হয়ে প্রধান বিচারপতিসহ অন্যদের পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দেন।
সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হক গ্রেপ্তার
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. মাইনুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, রাজধানীর নিউমার্কেট থানার একটি মামলায় আজ বিকেলে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ছাত্র-জনতার তোপের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এর পরপরই শেখ হাসিনা সরকারের মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতারা গা ঢাকা দেন। সালমান এফ রহমানের আজ গ্রেপ্তার হওয়ার খবর এলেও ভারতীয় গণমাধ্যমে এর আগে দাবি করা হয়েছিল তিনি শেখ হাসিনার সঙ্গে দেশ ছাড়েন।
বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সাবেক সভাপতি ও বেক্সিমকো গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন সালমান এফ রহমান। তিনি আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বেসরকারি খাতবিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন।
সালমান এফ রহমান ২০১৮ সালের নির্বাচনে ঢাকা-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য হন। পরে তাকে নিজের বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা পদে নিয়োগ দেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আইনজীবী আনিসুল হক ২০১৪ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ থেকে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তখনই তাকে আইনমন্ত্রী করা হয়। এরপর থেকে তিনি আইনমন্ত্রীর পদে ছিলেন।
অবশেষে পদোন্নতি পেলেন আলোচিত সেই ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম
অবশেষে পদোন্নতি পেলেন র্যাবের সেই আলোচিত ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) রাতে নিজের ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে জানান তিনি উপসচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন।
রাত ১০টা ১২ মিনিটে নিজের ফেসবুক পোস্টে মো. সারওয়ার আলম লেখেন, আলহামদুলিল্লাহ্। সব প্রশংসা মহান আল্লাহর, যিনি সর্বোত্তম ফয়সালাকারী। তিনবার বঞ্চিত হওয়ার পর আজ উপসচিব পদে পদোন্নতি পেলাম।
বিসিএস ২৭তম ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডার হিসেবে ২০০৮ সালের নভেম্বরে সরকারি চাকরিতে যোগ দান করেন সারোয়ার আলম। পরে ২০১৪ সালের ১ জুন সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে পদোন্নতি পান তিনি।
২০২১ সালের ৭ মার্চ প্রশাসনের ৩৩৭ জন সিনিয়র সহকারী সচিবকে উপসচিব পদে পদোন্নতি দেয় সরকার। কিন্তু পদোন্নতিবঞ্চিত হন ২৭তম বিসিএসের প্রশাসন ক্যাডারের আলোচিত এ কর্মকর্তা।
পরদিন ৮ মার্চ বিসিএস ২৭তম ব্যাচের এই কর্মকর্তা ফেসবুকে লিখেন, চাকরি জীবনে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী অন্যায়, অনিয়মের বিরুদ্ধে লড়েছেন তাদের বেশিরভাগই চাকরি জীবনে পদে পদে বঞ্চিত ও নিগৃহীত হয়েছেন এবং এ দেশে অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়াটাই অন্যায়।
এমন স্ট্যাটাস দেয়ার পর সারওয়ারকে বিচারের আওতায় আনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ২০২১ সালের ৩০ জুন এ নিয়ে বিভাগীয় মামলা হয় এবং তার কাছে কৈফিয়ত তলব করা হয়। সারওয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনে কোনো লিখিত বক্তব্য দেননি।
শেষ পর্যন্ত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ৬ মে তাকে তিরস্কার সূচক লঘুদণ্ড প্রদান করা হয়। বর্তমানে তিনি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে কর্মরত আছেন।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ নিয়ে যে বার্তা দিলো জাতিসংঘ
বাংলাদেশে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার কত দিন ক্ষমতায় থাকবে তা নিয়ে কথা বলেছেন জাতিসংঘ মহাসচিবের উপমুখপাত্র ফারহান হক।
সোমবার (১২ আগস্ট) জাতিসংঘ মহাসচিবের দপ্তরের নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব বিষয়ে কথা বলেন তিনি।
ফারহান হক বলেছেন, তারা অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। আশা করছি, সরকার গঠনের জন্য একটি উন্মুক্ত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে এবং গণতান্ত্রিক শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠায় দ্রুত একটি সময়সীমা জানানো হবে।
প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ছাত্র-জনতার তোপের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে তার টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনের অবসান হয়। শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার খবরে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিসহ অন্যান্য নেতারা গা ঢাকা দেন।
শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর টানা তিন দিন দেশে কার্যত কোনো সরকার ছিল না। পরে ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। প্রধান উপদেষ্টা করা হয় ড. ইউনূসকে।
রিমান্ডে দুই মন্ত্রীকে দুষলেন আনিসুল
সরকারের ব্যর্থতায় কোটা সংস্কার আন্দোলন রূপ নেয় গণঅভ্যুত্থানে। আর সেই অভ্যুত্থানে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এর পর দলের মন্ত্রী-এমপিরা কেউ পালিয়ে গেছেন আবার কেউ আছেন আত্মগোপনে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন গ্রেপ্তার হয়ে রিমান্ডে আছেন।
ডিএমপি নিউমার্কেট থানায় দায়ের হওয়া হকার শাহজাহান আলী হত্যা মামলায় মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করা হয় সালমান এফ রহমান এবং আনিসুল হককে। বুধবার তাদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। তারা এখন ডিবি হেফাজতে আছেন। যে মামলায় তারা রিমান্ডে আছেন ওই মামলায় কোনো আসামির নাম নেই। তবে অজ্ঞাতনামা হিসাবে বিএনপি ও জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
সদ্য বিদায়ী সরকার আমলে গত ১৬ জুলাই করা মামলায় গ্রেপ্তার হন সদ্য বিদায়ী সরকারের প্রভাবশালী এই উপদেষ্টা ও মন্ত্রী। রিমান্ডের প্রথম দিনের জিজ্ঞাসাবাদে তারা দেশে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরির জন্য দায় চাপাচ্ছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জমান খান কামাল ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ওপর।
ডিএমপির দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, গ্রেপ্তাররকৃতদের অপরাধ শুধু পুলিশ কেইসের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। শেয়ারবাজারসহ অনেক অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারিতে জড়িত সালমান এফ রহমান। সরকারের অনেক অপকর্মকে আইনি বৈধতা দেওয়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছেন আনিসুল হক। তাই তাদের জিজ্ঞাসাবাদের ক্ষেত্রে হত্যা মামলার পাশাপাশি অর্থনৈতিক ও আইনগত বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
সূত্র আরও জানায়, যে মামলায় সালমান এফ রহমান এবং আনিসুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেই মামলার ভিকটিম গুলিতে মারা গেছেন। অথচ এজাহারে বলা হয়েছে কোটাবিরোধী জামায়াত-শিবির এবং বিএনপি নেতাকর্মীদের এলোপাতাড়ি আঘাতে ভিকটিম শাহজাহান মারা গেছেন। মামলায় কেন মিথ্যাচার করা হয়েছে, সেই বিষয় নিয়েও তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
যে মামলায় সালমান-আনিসুল হককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে, সেই মামলায় আসামি হিসাবে তাদের নাম নেই। যাদের অজ্ঞাত আসামি দেখানো হয়েছে এজাহাদের তাদের বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের লোক বলা হয়েছে। তাহলে কী সালমান এফ রহমান এবং আনিসুল হক বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট? এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার মাইনুল হাসান বলেন, মামলা হলো ফাস্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট। তদন্তের পরই প্রকৃত সত্য উঠে আসবে।
জিজ্ঞাসাবাদে আনিসুল হক বলেন, ‘দেশে ছাত্র অন্দোলন শুরু হওয়ার পর আমি একটি সমাধানের দিকে যাচ্ছিলাম। কিন্তু সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। আন্দোলন দমনে তারা খুবই এগ্রেসিভ ছিলেন। এছাড়া তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও বাস্তবতা বোঝানো যাচ্ছিল না। এ কারণে আন্দোলন এক পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।’ সালমান এফ রহমান এবং আনিসুল হককে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় ডিবির এক কর্মকর্তা দুজনের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণেই দেশের এই অবস্থা।’ এ সময় তারা ছিলেন নির্বিকার।
এ বিষয়ে মামলার বাদী আয়েশা বেগম বলেন, আমার ছেলে পুলিশের গুলিতে মারা গেছেন। আমরা গরিব মানুষ। লেখাপড়া জানি না। মামলার এজাহার আমরা লিখিনি। ওটা পুলিশ লিখেছে। পড়ালেখা না জানলেও স্বাক্ষর করতে পারি। পুলিশ এজাহার লেখার পর কেবল স্বাক্ষর দিতে বলেছে। তাই এজাহারে স্বাক্ষর করেছি। একদিকে যেমন ছেলে হত্যার ন্যায়বিচার চাই, তেমনি যেসব পুলিশ অফিসার মিথ্যা এজাহার লেখার সঙ্গে জড়িত তাদের বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে নিউমার্কেট থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, ভিকটিম শাহজাহান গুলিতেই মারা গেছেন। তার মাথায় গুলির ছিদ্র ছিল। সেখান থেকে পিলেট উদ্ধার করা হয়েছে। শরীরের অন্যান্য স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি। এভাবেই সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে আমরা ঘটনাস্থল থেকে সিসিটিভির ফুটেজও সংগ্রহ করেছি।