তিস্তা নিয়ে হাছান মাহমুদ-জয়শঙ্করের বৈঠক
তিস্তা বহুমুখী প্রকল্প নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বৈঠক করেছেন। দিল্লিতে বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনের (বিমসটেক) পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনের ফাঁকে তিস্তা প্রসঙ্গে আলোচনা করেন তারা।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, হাছান মাহমুদের সঙ্গে জয়শঙ্করের বাংলাদেশে নিত্যপণ্য আমদানিতে অব্যাহত সুবিধা বজায় রাখা ও তিস্তা প্রকল্পের জন্য কারিগরি দল পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
জুনের শেষের দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তিস্তা বহুমুখী প্রকল্পের জন্য বাংলাদেশে কারিগরি দল পাঠানোর ঘোষণা দেন।
হাছান মাহমুদ দিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং পারস্পরিক স্বার্থের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান সুই বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেন।
এ ছাড়া নেপালের পররাষ্ট্রসচিব সেওয়া লামসাল হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। তারা পারস্পরিক স্বার্থের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে চীন সফর শেষে বুধবার রাতে বেইজিং থেকে সরাসরি দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের দ্বিতীয় বিমসটেক সম্মেলনে যোগ দেন হাছান মাহমুদ।
সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বিমসটেক প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী করা এবং আসন্ন ৬ষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনকে সফল ও ফলপ্রসূ করার বিভিন্ন উপায় নিয়ে আলোচনা করেছেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে হাছান মাহমুদ আঞ্চলিক এই জোটভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন, সংযোগ এবং ব্লু অর্থনীতির ক্ষেত্রে কার্যকর সহযোগিতার ওপর জোর দেন।
উল্লেখ্য, বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল, টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন বা ‘বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে বহুখাতীয়, কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা উদ্যোগ’ সংক্ষেপে বিমসটেক হলো দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাতটি দেশ নিয়ে গঠিত একটি আঞ্চলিক জোট। ১৯৯৭ সালে গঠিত এই জোটের সদস্য হলো বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড।
মন্তব্য করুন