স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রোহিঙ্গা শিশুরা, জরুরি পদক্ষেপে সরকার
নতুন করে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গা শিশুদের মধ্যে মহামারি আকারে কোনো রোগ যেন ছড়াতে না পারে সেজন্য জরুরি পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এরইমধ্যে প্রতিটি ক্যাম্পে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, ২৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত কমপক্ষে চার লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এদের মধ্যে টেকনাফ ও উখিয়ার শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয়া দুই লাখের বেশি শিশু মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে আছে। জাতিসংঘ শিশু তহবিল-ইউনিসেফও এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এই মানবিক সংকটে, সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে শিশুরা’।
প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, শরণার্থীদের মোট সংখ্যার ৬০ ভাগ শিশু। কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন জানিয়েছেন, ১২টি জায়গায় শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের জন্য ১২শ’ ল্যাট্রিন ও ১২শ’ টিউবওয়েল বসানো হবে। ইতোমধ্যে প্রায় ৭শ’ ল্যাট্রিন ও ৮শ’ টিউবওয়েল বসানো হয়েছে। এজন্য দেশি-বিদেশি ৩৮টি এনজিওসহ, সরকারি সংস্থাগুলো কাজ করছে।
তিনি আরো বলেন, শরণার্থীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা চিন্তা করে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। পর্যাপ্ত ডাক্তার রাখা হয়েছে।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকেও মেডিকেল টিম কাজ করছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের জিওসি মেজর জেনারেল মাকসুদ। তিনি বলেন, আমাদের মেডিকেল টিম এখানে কাজ করছে। তিনটি ব্রিগেডে তিনটি টিম কাজ শুরু করেছে। ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে আরো আটটি টিম কাজ শুরু করবে। প্রতিটি টিমেই দুইজন করে ডাক্তার এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট থাকবে। আমরা ওষুধও সরবরাহ করব।
এর আগে এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, রোহিঙ্গা শিশুরা মিয়ানমারে সব ধরণের স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চিত ছিল। তাই নানা রোগে আক্রান্ত এসব শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা দিতে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে।
এসএস
মন্তব্য করুন