• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা : বিচার দেখে যেতে চান আহতরা

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২১ আগস্ট ২০১৭, ০০:০০

আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ১৩ বছর আজ। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়।

ভয়াবহ সেই হামলায় শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান। কিন্তু গ্রেনেডের আঘাতে নিহত হন দলের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভী রহমানসহ ২৪ জন। আহত হন আরো প্রায় ৫শতাধিক। যাদের অনেকে চিরতরে পঙ্গু হয়ে গেছেন।

হামলার ১৩ বছর পরও এখন বিচার শেষ হয়নি আলোচিত এ মামলার। গ্রেনেডের স্পিন্টারে আহতদের একটাই চাওয়া মৃত্যুর আগে যেন জড়িতদের বিচার দেখে যেতে পারেন।

তাদের দাবি, গ্রেনেড হামলায় যারা জড়িত তাদের চূড়ান্ত বিচার দেখে যেতে পারলে মরেও শান্তি পাবেন। তাদের বিশ্বাস শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে এ বিচার হবেই।

প্রতিবছর ২১ আগস্ট আসলে আঁতকে ওঠেন হামলায় আহত ব্যক্তিরা। মনে পড়ে যায় সেই দিনের নৃশংসতার কথা। ১৩ বছর ধরে গুরুতর আহত প্রায় সবাই অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে বেঁচে আছেন।

গ্রেনেড হামলায় গুরুতর আহত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এস এম কামাল হোসেন বলেন, শরীরে এখনও ১০ থেকে ১২টি স্পিন্টার রয়েছে। ২১ আগস্টের ভয়াবহ স্মৃতি মনে হলে এখনও আঁতকে উঠি।

তিনি বলেন, বাঙালির ইতিহাসে যে কয়টি কালো দিন আছে, ২১ আগস্ট তার মধ্যে অন্যতম। সেদিন আওয়ামী লীগ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্যই এ হামলা চালানো হয়েছে।

গ্রেনেড হামলায় আহত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা লিটন মোল্লা। এখনও শরীরের নানা জায়গায় ক্ষত ও স্পিন্টার বয়ে বেড়াচ্ছেন। শ্রবণ শক্তিও প্রায় নেই বললেই চলে। অসুস্থতার কারণে অকর্মণ্য হয়ে পড়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, আর পারছি না। দিনরাত শরীরিক যন্ত্রণা অসুস্থতা, অন্যদিকে আর্থিক অনটন। এভাবে বেঁচে থাকা যায়? প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার আবেদন, ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহতদের জন্য যেন স্থায়ীভাবে কিছু করা হয়। আর জড়িতদের বিচার যেন দ্রুত শেষ হয়।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহত রত্না আক্তার রুবী। শরীরে এখনো প্রায় ৫০টি স্পিন্টার বয়ে বেড়াচ্ছেন। স্বামী সবুজ হাওলাদার ও এক ছেলে এক মেয়ে নিয়ে থাকেন মিরপুরে। ঘটনার কয়েক মাস পরেই তার শরীরের ডান দিকের অকেজো কিডনি ফেলে দিতে হয়েছে।

ভয়াবহ সেই দিনের ঘটনায় তিনি বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহত, রক্তাক্ত হই আমি। মৃত মনে করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ফেলে রাখা হয়েছিল। পরে জ্ঞান ফিরে পাবার পর দেখতে পাই আমি অন্য মরদেহের সঙ্গে মর্গে।

দীর্ঘ চিকিৎসার পর ধীরে ধীরে কিছুটা সুস্থ হলেও শরীরিক ও মানসিক যন্ত্রণা এখনো পিছু ছাড়েনি। ডাক্তার বলেছেন, যতদিন বেঁচে আছি এই যন্ত্রণা আমাকে পোহাতে হবে।

ওইদিন হামলায় আহত মাহবুবা পারভীন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সহায়তায় ওষুধের প্রয়োজন মিটলেও, সু-চিকিৎসা ও নিজের মাথা গোঁজার একটি স্থায়ী জায়গার দরকার। হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শান্তি দেখে যেতে চান তিনি।

এইচটি/জেএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh