• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা : ১৯ আসামি এখনো পলাতক

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২০ আগস্ট ২০১৭, ২৩:৫৭

২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে ১৯ জন আসামি এখনো পলাতক রয়েছেন। তাদের ফিরিয়ে আনতে আইনগতভাবে কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

স্বরাষ্ট্র আসাদুজ্জামান খান কামাল গণমাধ্যমকে বলেন, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী শান্তিময় সমাবেশ চলাকালে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এ হামলায় দায়েরকৃত মামলার পলাতক আসামিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকার আইনি এবং কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।

বিএনপি-জামায়াত শাসনামলে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস বিরোধী শান্তি সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দু’টি আলাদা মামলায় আদালতে দাখিলকৃত চার্জশিটে মোট ৫২ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।

মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত সরকারি কৌসুলি অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল গণমাধ্যমকে বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচার এখন শেষ পর্যায়ে। দীর্ঘ প্রত্যাশিত এই মামলার রায় চলতি বছরের মধ্যেই হবে বলে আশাবাদী। বর্তমানে এ মামলায় আসামি পক্ষের ১৩ জনের সাফাই সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। আসামি পক্ষের আরো ৮ থেকে ১০ জনের সাফাই সাক্ষী নেয়া হবে। পরে এ মামলায় উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে রায় ঘোষণা করা হবে।

তিনি বলেন, এর আগে ‘দু’জন তদন্ত কর্মকর্তাসহ (আইও) ২২৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ ও তাদেরকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জেরা সম্পন করেন। এ মামলায় ৪৯১ জনের মধ্যে ২২৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, অভিযুক্তদের মধ্যে ১৯ জন এখনো পলাতক রয়েছেন। অভিযুক্তদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী ও জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ও অপর এক মামলায় হরকাতুল জিহাদ প্রধান মুফতি আবদুল হান্নানের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। এছাড়া ৮ জন জামিনে রয়েছেন। অপর ১৯ জন আসামি বিভিন্ন দেশে পলাতক রয়েছেন, তাদের গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলের সহায়তা চাওয়া হয়েছে।

পলাতক ১৯ আসামি হলেন- তারেক রহমান লন্ডনে, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন কায়কোবাদ সৌদি আরবে, হানিফ এন্টারপ্রাইজের মালিক হানিফ কলকাতায়, ব্রিগেডিয়রি জেনারেল (অব.) এ টি এম আমিন আমেরিকায়, লে. কর্নেল (অব.) সাইফুল ইসলাম জোয়ারদার কানাডায়, বাবু ওরফে রাতুল বাবু ভারতে, আনিসুল মোর্সালীন এবং তার ভাই মুহিবুল মুক্তাকীন ভারতের কারাগারে এবং মাওলানা তাজুল ইসলাম দক্ষিণ আফ্রিকায় রয়েছেন।

জঙ্গি নেতা শফিকুর রহমান, মুফতি আবদুল হাই, মাওলানা আবু বকর, ইকবাল, খলিলুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে বদর, মাওলানা লিটন ওরফে জোবায়ের ওরফে দেলোয়ার, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপ-কমিশনার (পূর্ব) এবং উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) ওবায়দুর রহমান এবং খান সাঈদ হাসান বিদেশে অবস্থান করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের বেশির ভাগই পাকিস্তানে রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।

তবে অপর অভিযুক্ত পলাতক হারিস চৌধুরীর অবস্থান জানা যায়নি।

পলাতকদের মধ্যে মাওলানা তাজউদ্দিন ও বাবু এরা দু’জন বিএনপি সরকারের সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই। পিন্টুও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় অভিযুক্ত।

অভিযুক্ত ৫২ জনের মধ্যে বিএনপি’র সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু বর্তমানে জেলে রয়েছেন।

এই মামলায় পুলিশের সাবেক আইজি আশরাফুল হুদা, শহুদুল হক ও খোদাবক্স চৌধুরী এবং সাবেক তিন তদন্ত কর্মকর্তা- সিআইডি’র সাবেক এসপি রুহুল আমিন, সিআইডি’র সাবেক এএসপি আতিকুর রহমান ও আবদুর রশিদ জামিনে রয়েছেন।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২১ আগস্টের ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে আলাদা দু’টি মামলায় ২০০৮ সালের ১১ জুলাই প্রথম চার্জশিট দাখিল করা হয়। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু এবং ২১ জন হুজি নেতাকর্মীসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করা হয়। নতুন করে তদন্তের পরে ২০১২ সালের ৩ জুলাই অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ৩০ জনকে অভিযুক্ত করে আলাদা দু’টি সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করে। দু’টি মামলায় মোট অভিযুক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫২।

জেএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh