• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

নিরাপদ শ্রম অভিবাসনে রামরুর ৬ সুপারিশ

আরটিভি নিউজ

  ২৯ ডিসেম্বর ২০২২, ২৩:৫৩
নিরাপদ শ্রম অভিবাসনে রামরুর ৬ সুপারিশ
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ থেকে নিরাপদ শ্রম অভিবাসনের জন্য ছয়টি সুপারিশ করেছে রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্ট রিসার্চ ইউনিট (রামরু)।

বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘বাংলাদেশ থেকে শ্রম অভিবাসনের গতি-প্রকৃতি-২০২২: সাফল্য ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে সুপারিশগুলো তুলে ধরেন রামরুর চেয়ার ড. তাসনীম সিদ্দিকী।

সংবাদ সম্মেলনে রামরুর পক্ষ থেকে নিরাপদ শ্রম অভিবাসনের বিষয়ে ছয়টি সুপারিশ করা হয়।

সুপারিশগুলো হলো-রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াবার জন্য অভিবাসীদের ব্যাংকের ওপর আস্থা ফিরিয়ে আনবার জন্য জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে। নবনির্মিত কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোর (টিটিসি) পরিচালনায় সরকারকে এনজিওদের সঙ্গে অংশীদারিত্বে কাজ করা। নিরাপদ অভিবাসন সুনিশ্চিত করতে তরুণদের সাহায্য নিয়ে অভিবাসন সম্পর্কিত মোবাইল অ্যাপগুলোর প্রয়োগে স্কুল-কলেজের তরুণ শিক্ষার্থীদের সংযুক্ত করা। গন্তব্য দেশে অভিবাসীদের সন্দেহজনক অস্বাভাবিক মৃত্যুর কিছু কিছু কেস আবারও ময়নাতদন্তের পদক্ষেপ গ্রহণ করা। বায়রাতে যে অভিযোগ সেল গঠন করা হয়েছে, তা দ্রুত সক্রিয় করে অভিবাসীদের আইনগত সহায়তা নিশ্চিত করা এবং মানব পাচার সংক্রান্ত মামলাগুলোর প্রসিকিউশনের হার বৃদ্ধি করা।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত পাঁচ বছরে (২০১৭-২০২১) বিভিন্ন দেশে ১৫ হাজার ৩৬৮ জন বাংলাদেশি অভিবাসী নারী-পুরুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে শুধু নারী কর্মী নেওয়া দেশগুলো থেকে ৫৪৮ জন নারী কর্মীর মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এ সময়ে শুধু সৌদি আরবে আত্মহত্যা করেছেন ৫০ জন নারী অভিবাসী। যাদের গড় বয়স ৩৩ বছর। মৃত্যু সনদ অনুযায়ী, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৪ নারী অভিবাসী। যাদের গড় বয়স ৩৭ বছর। বিদেশ থেকে ফিরিয়ে আনা মরদেহের সঙ্গে আসা মৃত্যু সনদে অনেক সময়ই অভিবাসী কর্মীদের মৃত্যুর কারণগুলো স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা হয় না। উল্লেখিত কারণগুলোও অনেক ক্ষেত্রে কর্মীদের বয়স এবং স্বাস্থ্যের অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকে না। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামে সুশীল সমাজের পক্ষ হতে এ বিষয়ে আলোচনা প্রয়োজন।

সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, অভিবাসীরা যে দেশে যাচ্ছেন সেই দেশকে যেমন সমৃদ্ধ করছেন, তেমনি নিজের দেশকেও সমৃদ্ধ করছেন। অভিবাসীদের প্রতি যদি ন্যায়বিচার করা হয়, তাহলে তারা যেমন আরও বেশি অর্জন করতে পারবেন, তেমনি দেশকেও বেশি রেমিট্যান্স পাঠাতে পারবে।

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়