বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা নারী সমাজের প্রেরণার উৎস (ভিডিও)
আজ (মঙ্গলবার) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী, মহীয়সী নারী বাঙালির আন্দোলন সংগ্রামের নেপথ্যের প্রেরণাদানকারী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী। তিনি বঙ্গবন্ধুকে সব ধরনের কাজে সহযোগীতা করেছেন এবং বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে আওয়ামী লীগের দেখভাল করতেন।
বাংলাদেশের ইতিহাসে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কেবল একজন রাষ্ট্রনায়কের সহধর্মিণীই নন, বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের অন্যতম এক নেপথ্য অনুপ্রেরণাদানকারী। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বাঙালির অহংকার এবং নারী সমাজের প্রেরণার উৎস।
১৯৩০ সালের ৮ আগস্ট গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে বেগম ফজিলাতুন্নেছা জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র তিন বছর বয়সে বাবা ও পাঁচ বছর বয়সে মাকে হারান। তার ডাক নাম ছিল ‘রেনু’। অনেক ছোট বয়সে দাদা শেখ কাসেম শেখ মুজিবের সঙ্গে রেনুর বিয়ে দেন।
এদিকে শেখ মুজিব ছাত্র অবস্থা থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। আন্দোলন সংগ্রামে জীবনের অধিকাংশ সময় তিনি কারাগারে কাটিয়েছেন। তখন পুরো পরিবার পরিচালনার দায়িত্ব ছিলো ফজিলাতুন্নেসার উপর। শেখ মুজিবের অবর্তমানে তার মামলা পরিচালনার ব্যবস্থা করাসহ দলকে সংগঠিত করতে সহায়তা করতেন।
জেলখানায় সাক্ষাতকারের সময় বেগম মুজিব দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, দলের অবস্থা সম্পর্কে বঙ্গবন্ধুকে জানাতেন। পরামর্শ ও নির্দেশনা নিয়ে আসতেন নেতাকর্মীদের জন্য।
নেপথ্যে থেকে তিনি ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান এবং মুক্তিযুদ্ধের সময় বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন। পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার চোখ ফাঁকি দিয়ে দলের নেতাদের বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা পৌঁছে দিতেন। গোয়েন্দা সংস্থা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবকে বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদ ও গ্রেপ্তারের হুমকি দেয়। তবুও তিনি অবিচল ছিলেন।
প্রেরণা ও সাহস যুগিয়েছেন জাতির জনককে। দেশের উত্তাল পরিস্থিতিতেও ৫ সন্তানকে যোগ্য করে গড়ে তুলছেন। এই মহীয়সী নারী জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে দেশের সেবা করেছেন।
৭৫’র ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বেগম মুজিবকেও নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়। বাংলাদেশের ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের আত্মত্যাগের কথা।.
আরকে/জেএইচ
মন্তব্য করুন