পদ্মা সেতু নিয়ে মার্কিন দূতাবাসের বিবৃতি

দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান হলো। খরস্রোতা পদ্মার বুকে, বুক উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। শনিবার (২৫ জুন) দুপুর ১২টায় পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্বকে দেখিয়ে দিলেন নিজের টাকায় গড়েছেন দেশের সর্ববৃহৎ সেতু।

• আরও পড়ুন... সুর পাল্টে পদ্মা সেতু নিয়ে যা বলল বিশ্বব্যাংক

বিশ্বের খরস্রোতা নদীর তালিকায় আমাজনের পরেই পদ্মার অবস্থান। এমন খরস্রোতা নদীর ওপর বিশ্বে সেতু হয়েছে মাত্র একটি। তাইতো বিশ্বের নানান দেশ থেকে বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়েছেন অনেকেই।

সেই তালিকায় রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের জন্য বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়েছে দেশটি। অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির জন্য টেকসই পরিবহন পরিকাঠামো তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ; যা জনগণ এবং পণ্যকে দক্ষতার সাথে সংযুক্ত করতে পারে। পদ্মা সেতু বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নতুন এবং গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ তৈরি করবে, বাণিজ্য বৃদ্ধি করবে এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত করবে। এটি দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক সংযোগ উন্নয়নে বাংলাদেশের নেতৃত্বের আরেকটি উদাহরণ।

• আরও পড়ুন... নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে হেঁটে সেতু পার, তুলছেন সেলফিও (ভিডিও)

পদ্মা সেতুর পিলার সংখ্যা ৪২টি আর স্প্যান ৪১টি। খুঁটির নিচে সর্বোচ্চ ১২২ মিটার গভীরে স্টিলের পাইল বসানো হয়। অর্থাৎ প্রায় ৪০ তলা ভবনের উচ্চতার গভীরে পাইলিং নিয়ে যেতে হয়েছে। বিশ্বে এখন পর্যন্ত কোনো সেতুর জন্য এত গভীর পাইলিং হয়নি। এছাড়াও পদ্মা সেতুতে রয়েছে অত্যাধুনিক সিসি ক্যামেরা। সাধারণ আলোক সুবিধার পাশাপাশি সেতুতে আলোকসজ্জা ও সৌন্দর্য বর্ধনে রয়েছে আর্কিটেকচার লাইটিং।