• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

এবার গণকমিশনের অর্থের উৎস অনুসন্ধানে আলেমদের পাল্টা স্মারকলিপি

আরটিভি নিউজ

  ২৩ মে ২০২২, ১৭:৩৮

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সমন্বয়ে মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে গঠিত ‘গণকমিশন’ সারাদেশের ১১৬ জন ধর্মীয় বক্তার অবৈধ সম্পদের উৎস তদন্তে গত ১১ মে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) শ্বেতপত্র দিয়েছিল।

এবার ১৯৯২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আয়-ব্যয়ের হিসাব ও তহবিলের উৎস, কমিটির নেতাদের আয়-ব্যয়ের হিসাব এবং গণকমিশনের শ্বেতপত্রসহ অতীতে তাদের প্রকাশিত শ্বেতপত্রের আর্থিক জোগান ও আয়-ব্যয় সম্পর্কে অনুসন্ধান করতে ‘দুদক’কে পাল্টা স্মারকলিপি দিয়েছে ‘ইসলামিক কালচারাল ফোরাম বাংলাদেশ’ নামে একটি সংগঠন।

সোমবার (২৩ মে) ফোরামের প্রধান উপদেষ্টা গাজীপুর দেওনার পীর অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে দুদক চেয়ারম্যান মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহ বরাবর এই স্মারকলিপি দেওয়া হয়। তিন দফা দাবিতে দেওয়া এ স্বারকলিপি গ্রহণ করেন দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মিজানুর রহমান চৌধুরী বলেন, কওমি মাদরাসাতে সাধারণত নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে-মেয়েরা বেশি পড়াশোনা করে। সরকারি অনুদান না নিয়েই শিক্ষিত জাতি গঠনে আমরা নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছি, অথচ আমাদের উৎসাহ না দিয়ে তারা (গণকমিশন) উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সরকারের সঙ্গে সংঘাত ঘটানোর চেষ্টা করছে।

তিনি বলেন, যারা আমাদের রাজপথে নামতে বাধ্য করছে তাদের অভিযোগ প্রত্যাহার করতে এবং আয়-ব্যয় ও অর্থের উৎস খুঁজে বের করতে আমরা দুদককে অনুরোধ জানিয়েছি।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- ইসলামিক কালচারাল ফোরাম বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মো. নাজমুল হক, নির্বাহী সদস্য মাওলানা আবু জাফর কাসেমী, মাওলানা মানসূরুল হক, মাওলানা আবুল কাসেম আশরাফী, মাওলানা রিয়াদুল ইসলাম, মুফতি আব্দুর রাজ্জাক কাসেমী, মুফতি ওয়াহিদুল আলম, মুফতি আব্দুর রহিম, আলহাজ ফজলুল হক ও মাওলানা মোতাহার উদ্দিন।

এর আগে, গত ১১ মে প্রায় এক হাজার মাদরাসার তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেশের ১১৬ জন ধর্মীয় বক্তার অবৈধ সম্পদের উৎস তদন্তে দুদককে শ্বেতপত্র দেয় গণকমিশন।

গত ১১ মে গণকমিশনের চেয়ারম্যান সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সদস্য সচিব ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল দুদক চেয়ারম্যানের কাছে এই শ্বেতপত্র দেয়।

এ সময় বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক সাংবাদিকদের বলেন, আমরা প্রায় এক হাজার মাদরাসার তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এই শ্বেতপত্র তৈরি করেছি। ‘জামায়াত’ ও ‘ধর্ম ব্যবসায়ী’ গোষ্ঠীকে অর্থায়ন করা হচ্ছে। ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আমরা দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছি। তারা মানিলন্ডারিং করেছে। দুদকে সেই তথ্য দিয়েছি। ধর্মান্ধ এই গোষ্ঠীকে বাড়তে দেওয়া যাবে না। ২২শ পৃষ্ঠার এই শ্বেতপত্র স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও দেওয়া হয়েছে। তিনি ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।

এরপর ২০ মে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, গণকমিশনের কোনো ভিত্তি নেই। অভিযোগের প্রমাণ না থাকলে সে অভিযোগ আমলে নেওয়া হয় না।

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
সাংবাদিককে কারাদণ্ডের ঘটনায় অনুসন্ধান প্রতিবেদন জমা
বিদেশি কোম্পানিকে দেওয়া হচ্ছে বাড়তি সুবিধা
বঙ্গোপসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে আগ্রহ আন্তর্জাতিক অনেক কোম্পানির
বঙ্গোপসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান
X
Fresh