২৬ দিন পর উঠছে পামওয়েল রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা
অবশেষে পামওয়েল তেল রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছে ইন্দোনেশিয়া। ২৬ দিন পর এ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছে দেশটি। দেশটির অভ্যন্তরীণ রান্নার তেল সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতির পরে প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো এ ঘোষণা দিলেন।
রপ্তানি বন্ধ করায় এর প্রভাব পড়েছে বিভিন্ন দেশে। এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ফলে বাংলাদেশে ভোজ্যতেলের সরবরাহ বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশ্বের ভোজ্যতেলের বাজারের এক তৃতীয়াংশের বেশি পামওয়েল। ইন্দোনেশিয়া এই তেলের প্রায় ৬০ শতাংশ সরবরাহ করে থাকে। গত ২৮ এপ্রিল থেকে অপরিশোধিত পামওয়েল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। ২৬ দিন পর গত ১৯ মে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।
রয়টার্স জানায়, গত বৃহস্পতিবার পামওয়েল রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়টি সরকারকে পুনর্বিবেচনা করতে ইন্দোনেশিয়ার সংসদ নেতারা অনুরোধ জানায়। এর পরপরই সরকারের পক্ষ থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সংসদ নেতারা পামওয়েল সংশ্লিষ্টদের বরাত দিয়ে বলেন, ইন্দোনেশিয়ার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম প্রধান উৎস পামওয়েল রপ্তানি। দেশে এই তেলের সরবরাহ এবং ধারণ ক্ষমতার পূর্ণ হবে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে। রপ্তানি না করলে এ তেলের উৎপাদন স্থবির অবস্থায় চলে আসতে পারে।
তারা জানান, ভোজ্যতেলের দাম বেড়ে যাওয়ার যে ঘটনা ঘটছে তা দ্রুত কমে আসবে। দেশে ১ কোটি ৬৪ লাখ হেক্টর জমিতে চাষ হয় এই পামওয়েল। প্রতিমাসে ২৫০ থেকে ৩০০ কোটি ডলারের পামওয়েল রপ্তানি করে দেশটি। অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তিও এই খাত। তাই রপ্তানি জরুরি বলে জানান তারা।
গত কয়েক মাস ধরেই ভোজ্যতেলের দাম বাড়ছে। দেশে রোজার ঈদের আগে বাজার থেকেই উধাও হয়ে গিয়েছিল ভোজ্যতেল। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সরকার লিটার প্রতি তেলের দাম ১৬০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৯৮ টাকা নির্ধারণ করে।
পামওয়েলের রপ্তানি থেকে ইন্দোনেশিয়ার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের এ সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের ভোজ্যতেলের বাজারেও দাম কমতে পারে বলে আশা করা যায়। ইন্দোনেশিয়া থেকে পামওয়েল আমদানির মাধ্যমে ভোজ্যতেলের চাহিদার সিংহভাগ পূরণ করা হয় বাংলাদেশে।
মন্তব্য করুন