• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

সংকট মোকাবিলায় উপদেষ্টা কমিটি চায় টিআইবি

আরটিভি নিউজ

  ২০ মে ২০২২, ২১:৩৫
ছবি : সংগৃহীত

করোনা পরবর্তী সরবরাহ সংকট এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে দেশের অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করতে জরুরি ভিত্তিতে স্বাধীন অর্থনৈতিক কৌশল বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটি গঠনে সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

শুক্রবার (২০ মে) সংস্থাটি থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়।

নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতি, ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন, ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি, রিজার্ভের ওপর চাপ বেড়ে যাওয়ায় সম্ভাব্য সংকট মোকাবিলায় করণীয় ঠিক করতে অর্থ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে অহেতুক ব্যয় কমিয়ে সকলকে সাশ্রয়ী ও যৌক্তিক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

সম্ভাব্য অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

এ সময় তিনি বলেন, ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ যখন চলছে, ঠিক তখনি বিপুল আমদানি ব্যয়প্রসূত বৈদেশিক লেনদেনে ভারসাম্যহীনতা দেখা দিয়েছি। এই অবস্থায় রিজার্ভের ওপর তৈরি হওয়া চাপ মোকাবিলায় ব্যয় হ্রাস করা হচ্ছে। একই কারণে জনকল্যাণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের ওপর সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে সুচিন্তিত অর্থনৈতিক কর্মকৌশল নেওয়া জরুরি। এ কাজ করতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ বলে বিশ্বাস করে টিআইবি।

টিআইবির দাবি, সরকারি প্রয়াসের সহায়ক হিসেবে ও জাতীয় আয় ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে অর্থনীতিবিদ, সমাজবিজ্ঞানী এবং সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে জরুরি ভাবে পরামর্শক কমিটি গঠন করা হউক।

বিবৃতিতে বলা হয়, অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশকেও সম্ভাব্য খাদ্য ঘাটতিসহ বহুমুখী সংকটের উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছে। এ ধরনের সংকটে যেকোনো দেশেই সুশাসন ব্যাহত হয়। পাশাপাশি দুর্নীতি ও অর্থ পাচারসহ অনিয়ম গভীর ও ব্যাপক হয়। আর্থ-সামাজিক বৈষম্য, দারিদ্র্য ও প্রান্তিকতার বিকাশ ঘটে। পাশাপাশি মৌলিক মানবাধিকার সুরক্ষা অধিকতর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে কৌশল নির্ধারণ এবং নিরপেক্ষ দিক-নির্দেশনা সরকারের জন্য বিশেষভাবে দরকার।

সম্ভাব্য সংকট ও প্রতিকূলতাকে স্বল্প ও মধ্যমেয়াদে প্রতিহত করার পরিকল্পনা নেওয়া যেতে পারে। সে অনুযায়ী ২০৩১ এর মধ্যে উচ্চ-মধ্যম ও ২০৪১ এর মধ্যে উচ্চ আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যায়। পাশাপাশি ২০৩১ এর মধ্যে অতিদারিদ্র্য নিরসন করে ২০৪১ সালে শূন্য দারিদ্র্য নিশ্চিত করতে সুনির্দিষ্ট কৌশল তৈরি করতে এই কমিটি অবদান রাখতে পারবে।

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
জোরপূর্বক ব্যাংক একীভূতকরণ দায়মুক্তির নতুন মুখোশ: টিআইবি
বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ চেয়েছেন রাষ্ট্রপতি
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়েছে আইএমএফ
সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতির নজির, বেনজির ও দায়মুক্তি
X
Fresh