সাঈদীকে ছাড়াতে র্যাবের ওপর সশস্ত্র হামলা
ছাত্রলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী ওরফে সাহেদী হোসেনকে ছাড়াতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ওপর সশস্ত্র চামলা চালানো হয়েছে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জোবায়ের আহমেদের নেতৃত্বে ১৫০ থেকে ২০০ জন হামলা চালিয়ে সাঈদীকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন বলে দাবি করেছে র্যাব-৩।
বৃহস্পতিবার (১৯ মে) বিকেলে র্যাব-৩-এর সহকারী পরিচালক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বীণা রানী দাস এ তথ্য জানান।
জানা গেছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে বৃহস্পতিবার ভোরে সবুজবাগ এলাকা থেকে সাঈদী হোসেনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
তিনি সবুজবাগ থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক।
সাঈদীকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর অভিযোগে র্যাব-৩ এর একটি দল অভিযান চালিয়ে সাঈদীকে গ্রেপ্তার করেছে। তার কাছ থেকে অস্ত্র, গুলি ও মাদক উদ্ধার করা হয়েছে।
সাঈদী হোসেন এক সময় সবুজবাগ থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। কিন্তু ‘চাঁদাবাজি, মাদক সম্পৃক্ততা ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের’ কারণে ২০১৯ সালে তাকে ওই পদ থেকে বাদ দেওয়া হয়। এরপর ২০২১ সালে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত একটি চিঠি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসে, সেখানে সাঈদী হোসেনকে মহানগর দক্ষিণের সহ-সভাপতির পদ দেওয়ার কথা জানানো হয়। তখন থেকে ওই পরিচয়েই কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছেন তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের এক নেতা বলেন, সাঈদীকে দক্ষিণের সহ-সভাপতির পদ জোবায়েরই দিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার ভোরে র্যাব সাঈদীকে গ্রেপ্তার করতে আসলে জোবায়ের বাধা হয়ে দাঁড়ান। তিনি সাঈদীকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তখন তাকেও আটক করা হয়।
বীণা রানী দাস বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে আটক করেছে র্যাবের আভিযানিক দল। অভিযান শেষে সাঈদীকে নিয়ে র্যাব সদস্যরা রাস্তায় বের হলে জোবায়ের আহমেদের নেতৃত্বে ১৫০ থেকে ২০০ জন সাঈদীকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় তারা র্যাবের ওপর সশস্ত্র হামলা চালায়। তখন র্যাব সদস্যরা সরকারি দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়ার অভিযোগে জোবায়েকে গ্রেপ্তার করলে অন্যরা ছত্রভঙ্গ হয় যায়। এসময় র্যাবের দুই সদস্য আহত হন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি, সহযোগীদের নিয়ে অস্ত্রসহ মহড়া দিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি ও আধিপত্য বিস্তারের বিষয়টি সাঈদী স্বীকার করেছেন বলে জানান বীণা রানী দাস।
মন্তব্য করুন