পি কে হালদারকে দ্রুত দেশে আনার চেষ্টা চলছে : দুদক
হাজার কোটি টাকা পাচার কাণ্ডে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদারকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনতে সব ধরনের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ভারপ্রাপ্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান।
সোমবার (১৬ মে) দুপুরে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
সাঈদ মাহবুব খান বলেন, ভারতে গ্রেপ্তার হওয়া প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের কিছু মামলায় রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। আমাদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ইন্টারপোল দ্রুত ভারতীয় বডির সঙ্গে যোগাযোগ করে আসামিকে ফেরত আনার ব্যাপারে পদক্ষেপ নিয়েছে।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে যেন দ্রুত আইনি কাঠামোর মধ্যে পি কে হালদারকে প্রত্যর্পণ করা যায়। ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তিও রয়েছে।
পি কে হালদারকে ফিরিয়ে আনতে কত সময় লাগতে পারে-এ প্রশ্নের জবাবে সাঈদ মাহবুব খান বলেন, ভারতে যেহেতু বেশকিছু মামলা হয়েছে। হয়তো আরও মামলা হবে। দুই-একটা মামলায় রিমান্ডেও নিয়েছেন। তবে দ্রুত তাকে দেশে নিয়ে আসার জন্য ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের অনুরোধ ও চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
প্রসঙ্গত, পি কে হালদার নাম পাল্টে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোক নগরের একটি বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন। সেখানে শিবশঙ্কর হালদার পরিচয়ে ভারতীয় নাগরিকত্ব নেন তিনি। এ ছাড়া ভারতে একাধিক অভিজাত বাড়িসহ বিপুল সম্পদ গড়ে তুলেছেন তিনি। অবশেষে শনিবার (১৪ মে) অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা অ্যানফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
উল্লেখ্য, দেশের বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচার করেন পি কে হালদার। দুদক তার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ৩৪টি মামলা করেছে। এসব মামলায় এক ডজনেরও বেশি ব্যক্তি কারাগারে রয়েছেন। তাদের মধ্যে ১১ জন দোষ স্বীকার করে জবানবন্দিও দিয়েছেন।
মন্তব্য করুন