নাগরিক সমস্যা সমাধান ও সেবায় ৯৯৯
৯৯৯ ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি সার্ভিস সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ কর্তৃক পরিচালিত একটি পাইলট কর্মসূচি। যা একটি কাঠামোর অধীনে নাগরিকের জরুরি প্রয়োজনে সম্পূর্ণ টোল ফ্রিভাবে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস দিয়ে থাকে।
বাংলাদেশ পুলিশ, বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অ্যাম্বুলেন্স সেবা ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্লাস ওয়ানের সেবা সমূহের সমন্বয়ে ও অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে এই সেবা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
জরুরি সেবা ছাড়াও প্রয়োজনীয় সরকারি সেবা, জীবন ও জীবিকা বিষয়ক তথ্য পরামর্শ সেবা নিশ্চিত করাও এই কর্মসূচির একটি উদ্দেশ্য।
৯৯৯ কলসেন্টারের মাধ্যমে শুধুমাত্র জরুরি সেবা দেয়া হবে এবং অন্যান্য সাধারণ সেবা ও জীবন জীবিকা বিষয়ক তথ্য পরামর্শ সেবা ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে। ভবিষ্যতে এই হেল্পডেস্ক বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য তথ্য ও সেবা প্রাপ্তির একটি ওয়ান স্টপ উইন্ডো হিসেবে কাজ করবে।
# যে সব সেবা পাবেন
১. রাস্তায় একা একা হাঁটছেন, সন্দেহভাজন কিছু লোক আপনার পিছু নিয়েছে। এখনি পুলিশের সহযোগিতা পেলে ভালো হতো।
কিন্তু আপনার কাছে নিকটস্থ থানার কারো কোনো নম্বর নেই। পুলিশের অ্যান্ডয়েড অ্যাপস থেকে যে নম্বরটা বের করবেন তার উপায় নেই, কারণ আপনার কাছে রয়েছে সাধারণ ফোন। সমস্যা নেই, সাধারণ ফোন থেকেই ডায়াল করুন ৯৯৯ নম্বরে।
শুধু আপনার অবস্থান বলে সহযোগিতা চান, বাকি কাজটা তারাই করবে।দেখতে দেখতে পুলিশ এসে হাজির হয়ে যাবে।
২. মধ্যরাত। পরিবারের একজন হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। জরুরি অ্যাম্বুলেন্স লাগবে। পরিচিত কেউ ফোন ধরছে না। খুব বিপদ।নিশ্চিন্তে ডায়াল করুন ৯৯৯ নম্বরে। অ্যাম্বুলেন্স বাসার গেট এ হাজির হয়ে যাবে।
৩. পাশের বাসায় আগুন লেগেছে? ফায়ার সার্ভিস এর ফোন নম্বর নেই? দ্রুত আগুন নেভানো দরকার। কি করবেন বুঝতে পারছেন না? নম্বর একটা জুটলো কিন্তু মোবাইল ফোনে ব্যালান্স শেষ। সমস্যা নেই, ডায়াল করুন টোল ফ্রি ৯৯৯ নম্বরে। পৌঁছে যাবে ফায়ার সার্ভিসের দল।
কি বিশ্বাস হচ্ছে না? ইউরোপ-আমেরিকার গল্প মনে হচ্ছে? না এটা ডিজিটাল বাংলাদেশেরই গল্প।
আমরা প্রবেশ করতে যাচ্ছি নতুন এক বাংলাদেশে। যেখানে আপনার জরুরি প্রয়োজনে দিন রাত কান পেতে রয়েছেন ন্যাশনাল হেল্প ডেস্কের সেচ্ছাসেবকরা।
শুধু আপনার বিপদে পাশে দাঁড়াতে, যেকোন সময়। আসুন যাত্রা শুরু করি নতুন বাংলাদেশ এর পথে। প্রবেশ করি ট্রিপল নাইন এর বাংলাদেশে।
# সাবধানতা
১.ভুলেও অপ্রয়োজনে কল দেবেন না। আপনার যাবতীয় তথ্য থাকবে ডাটাবেজে। একবার "প্রাংক কলার" হিসেবে এনলিস্টেড হলে আসল বিপদে আর সাহায্য পাবেন না!!
২. তুচ্ছ তথ্যের জন্য ফোন দিয়ে লাইন ব্যস্ত না রাখাই ভালো। কে জানে আপনার চেয়ে বিপদাপন্ন একজন হয়ত ওয়েটিং এ আছেন।
৩. শিশুরা যাতে ভুলে কল না করতে পারে এজন্য ফোন লক করে রাখুন।
৪. কল সেন্টারের কর্মীকে প্রয়োজনীয় তথ্য চাহিদামাফিক দিন। আপনার সব তথ্য খুবই ‘কনফিডেনসিয়াল’ হিসেবে সংরক্ষিত থাকবে। মনে রাখবেন, আপনাকে সাহায্য করার জন্যই কাজ করছে ৯৯৯।
জেএইচ
মন্তব্য করুন