• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

অনানুষ্ঠানিকভাবে কাজে যোগ দিয়েছেন টিটিই শফিকুল

আরটিভি নিউজ

  ০৯ মে ২০২২, ১৩:০৮

রেলমন্ত্রীর আত্মীয়কে জরিমানা করে বহিষ্কার হওয়া আলোচিত টিটিই শফিকুল ইসলাম অনানুষ্ঠানিকভাবে কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন। বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার হওয়ার পর সোমবার (৯ মে) সকাল থেকে অফিসে অবস্থান করছেন তিনি।

শফিকুল ইসলাম জানান, ঊর্ধ্বতন এসআরআইটি বরকতুল্লাহ আলামিনের কাছ থেকে ডিআরএম অফিস থেকে দেওয়া কন্ট্রোল অর্ডারের (নং ২৮৬, তাং ৮ মে-২০২২) কথা জানতে পেরে অফিসে উপস্থিত হয়েছি। পত্রটি অফিসে পৌঁছানোর পর অনানুষ্ঠানকিভাবে কাজ শুরু করব।

এর আগে, রোববার (৮ মে) ঘটনার বর্ণনা দেওয়ার জন্য বিভাগীয় তদন্ত কমিটির মুখোমুখি হয়েছিলেন শফিকুল। পাকশীর বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তার (ডিসিও) কার্যালয়ে তদন্ত কমিটির জিজ্ঞাসাবাদের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, সেদিন আমি খুলনা থেকে ঢাকাগামী আন্তনগর ট্রেন সুন্দরবন এক্সপ্রেসে দায়িত্ব পালন করছিলাম। ট্রেনটি ১ নম্বর প্লাটফর্মে আসার পর আমাকে জানানো হয় এসিও (সহকারী বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মো. নুরুল আলম) স্যারের অনুরোধে ৩ জন যাত্রী উঠেছেন, তারা এসি কেবিন যেটা ফাঁকা আছে সেখানে উঠেছেন। আমি তখন এসিও স্যারকে ফোন দিলে তিনি বলেন, রেলমন্ত্রীর আত্মীয় আছেন তিনজন, ওরা এসি রুমের কেবিনে যাবে।

আমি তখন বলেছি, স্যার তাদের তো কোনো টিকিট নাই, তাহলে কী করব? তখন স্যার বলেন, তাদেরকে সাধারণ মানের যে টিকিট আছে ওটার ব্যবস্থা করে দিতে। এরপর ওই তিন যাত্রীর সঙ্গে আমার কোনো কথা হয়নি। ট্রেন চালু হওয়ার পর আমি যাত্রীদের টিকেট পরীক্ষা শুরু করি।

টিকিট পরীক্ষা শুরুর সময় ট্রেনের অপারেটরকে জিজ্ঞেস করলাম, কোন কেবিনে তারা (মন্ত্রীর আত্মীয়) আছেন? আমাকে দেখানোর পর আমি সেখানে গিয়ে তাদেরকে সম্মানের সঙ্গে বললাম, আপনাদের তো কোনো টিকিট নেই। আমাকে এসিও স্যার যেহেতু বলেছেন, তাই আপনাদের নরমাল যে ভাড়া সেটা দিন, আমি টিকিটের ব্যবস্থা করে দেই। তখন তারা আমাকে জনপ্রতি ৩৫০ টাকা হারে ১০৫০ টাকা ভাড়া দেন। আমি তাদের ভাড়া আদায়ের রসিদ দিয়ে চলে যাই। এ ছাড়া তাদের সঙ্গে আমার আর কোনো কথাবার্তা হয়নি।এরপর কী কারণে আমাকে বহিষ্কার করা হলো তা আমি বুঝতে পারিনি।

মন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয় পাওয়ার পরও তাদের জরিমানা করেছেন কি না? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, হ্যাঁ বাড়তি ভাড়ার টিকেট ছাড়া আমি যেহেতু টিকিট ইস্যু করতে পারি না। তাই তাদেরকে জরিমানাসহ টিকেট দিয়েছি। ঈশ্বরদী থেকে ঢাকার কাউন্টার ভাড়া ২৯৫ টাকা, জরিমানাসহ জনপ্রতি ৩৫০ টাকা করে ১ হাজার ৫০ টাকা নিয়েছি। আমি ওপর ওয়ালাকে (আল্লাহ) সাক্ষী রেখে বলছি, তাদের সঙ্গে আমার কোনো বাগবিতণ্ডা হয়নি। এরপর তারা কী কারণে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলেন আমি সেটা জানি না।

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
জরিমানা করায় টিটিইসহ দুইজনকে মারধর 
ড. শফিকুল ইসলামের লিখা গানে কণ্ঠ দিলেন ড. প্রিয়াঙ্কা গোপ
আরও ২ নেতাকে বহিষ্কার করল জাতীয় পার্টি
X
Fresh