• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

‘রামপাল প্রকল্পে কাজের মান নিয়ে প্রশ্নের সুযোগ নেই’

অনলাইন ডেস্ক
  ২৭ আগস্ট ২০১৬, ২০:২৮

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদুৎ প্রকল্পে কাজের মান নিয়ে প্রশ্নের কোন সুযোগ নেই। কেননা সর্বোচ্চ মান বজায় রেখেই এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।

শনিবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ হবে পৃথিবীর সর্বাধুনিক আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে। ফলে এতে সুন্দরবনের পরিবেশ-প্রতিবেশ ও মানুষের কোনো ক্ষতি হবে না। এই প্রকল্প থেকে বছরে ৩০ কোটি টাকা সিএসআর আসবে। যা এলাকার মানুষের উন্নয়নের জন্য ব্যয় হবে।

তিনি বলেন, সবচেয়ে গুণগত মানসম্পন্ন কয়লা রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ব্যবহার হবে। ইন্দোনেশিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে মানসম্মত কয়লা আমদানি হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মূল্য ও প্রাপ্যতার দিক থেকে আজকের বিশ্বে কয়লাই মূল জ্বালানি। আমাদের বিদ্যুৎ গ্যাসনির্ভর। কিন্তু গ্যাসসম্পদ সীমিত। সেটি দিনে দিনে হ্রাস পাচ্ছে। তাই আমাদের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে কয়লার দিকে যেতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণে আমাদের সরকার সব সময় সচেতন। রামপাল প্রকল্পে শব্দ ও আলো দূষন সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখার সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। দূষণ নিয়ন্ত্রণকারী যন্ত্রপাতি ব্যবহৃত হবে। প্রকল্পটি সুন্দরবন থেকে ৬৫ কিলোমিটারের বেশি দূরে। এর বায়ু প্রবাহ সুন্দরবনের উল্টোদিকে।

তিনি বলেন, রামপাল এলাকায় কোন ঘনবসতি ছিল না। কিছু লোক মাছ ধরতো আর সুন্দরবনের গাছ চুরি করতো। এজন্য টোল করে থাকতো।বিদ্যুৎ কেন্দ্র করার জন্য তাদেরকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। এ প্রকল্প ঘিরে এই অঞ্চলে কর্মসংস্থার সৃষ্টি হবে। ফলে সুন্দরবনের পরিবেশ তারা আর নষ্ট করবে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ প্রকল্পে পশুর নদীর পানি শোধন করে লবনমুক্ত করে ব্যবহৃত হবে। নদীটির নাব্যতা বৃদ্ধি করতে ড্রেজিং করা হবে। ফলে মংলা বন্দরও লাভবান হবে।

তিনি বলেন, রামপাল প্রকল্পে সোলার প্যানেল হবে, আশে-পাশে সবুজায়ন করা হবে। কেউ যাতে জমি কিনে যত্রতত্র শিল্পায়ন করতে না পারে তার ব্যবস্থা থাকবে। শিল্পায়ন করতে হবে নির্দিষ্ট অর্থনৈতিক এলাকায়।

বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে সুন্দরবনসংলগ্ন বাগেরহাটের রামপালে নির্মিত হবে প্রকল্পটি। বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড।

প্রকল্পে সহায়তা করছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও ভারতের এনটিপিসি লিমিটেড। প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয় ১৪ হাজার ৫১০ কোটি টাকা। প্রকল্পের জন্য ৪৩০ একর ভূমি উন্নয়নকাজ শেষ হয়েছে। চলছে প্রাথমিক অবকাঠামোর কাজ।

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh