• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

সহিংসতা-ট্র্যাজেডির সংবাদ সংগ্রহে সাংবাদিকদের ট্রমা-সচেতন হওয়া জরুরি

আরটিভি নিউজ

  ২৮ অক্টোবর ২০২১, ১৯:২১
সহিংসতা-ট্র্যাজেডির সংবাদ সংগ্রহে সাংবাদিকদের ট্রমা-সচেতন হওয়া জরুরি

সাংবাদিকদের নিরাপত্তা শুধু শারীরিক নিরাপত্তার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, সহিংসতা, সংঘাত, বিপর্যয় ও ট্র্যাজেডি নিয়ে যারা কাজ করেন, তাদের জন্য মানসিক আঘাত থেকে সুরক্ষাও জরুরি।

বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) এ বিষয়ে একটি ওয়েবিনারে এমনটিই মন্তব্য করেছেন বক্তারা।

সেন্টার ফর কমিউনিকেশন অ্যাকশন বাংলাদেশ (সি-ক্যাব) ডার্ট সেন্টার ফর জার্নালিজম অ্যান্ড ট্রমা’র সহযোগিতায় ‘সংকটকালীন সাংবাদিকতা : ট্রমা ও সাংবাদিকের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা’ শীর্ষক ওয়েবিনারের আয়োজন করে।

ডার্ট সেন্টার এশিয়া প্যাসিফিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. কেইট ম্যাকমান ওয়েবিনারের বিশেষ বক্তা ছিলেন। তিনি এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো উপস্থাপন করেন।

তিনি বলেন, যেসব সাংবাদিকরা ট্রমাজনিত ঘটনাগুলো কাভার করেন তাদের মধ্যে নানান ধরনের মানসিক প্রতিক্রয়া দেখা দেওয়াটা স্বাভাবিক। যেমন, মেজাজের পরিবর্তন (মুডসুইং), নিদ্রাহীনতা, বিষণ্নতা এবং বিভ্রান্তি; যা দীর্ঘ মেয়াদে তাদের কাজ এবং ব্যক্তিগত জীবনকে প্রভাবিত করতে পারে। কিন্তু সামাজিক এবং পেশাগত সাপোর্ট নেটওয়ার্ক এবং নিজেই নিজের মানসিক যত্ন নেওয়ার মাধ্যমে সমস্যাগুলো কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।

ড. কেইট বলেন, সহিংসতা ও ট্র্যাজেডির শিকার ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকার এবং নিউজ কাভার করার সময় সাংবাদিকদের অবশ্যই ট্রমা-সচেতন হতে হবে।

সি-ক্যাবের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ জেইন আল-মাহমুদ বলেন, সাংবাদিকদের মানসিক স্বাস্থ্যের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে আলোচনা হওয়া প্রয়োজন। একই সঙ্গে নিউজরুমের উচিত মানসিক আঘাতপ্রাপ্ত সাংবাদিকদের জন্য নির্দেশিকা এবং সহায়তার ব্যবস্থা করা। তিনি আরও বলেন, স্থানীয় সাংবাদিকদের জন্য সি-ক্যাব ট্রমা সাংবাদিকতা নিয়ে সচেতন করতে নিউজ রুমের সঙ্গে কাজ করবে।

বাংলাদেশের সাংবাদিকদের জন্য ডার্ট সেন্টারের তৈরি ট্রমা রিসোর্সগুলোর আদলে গাইডলাইন তৈরি করেছে সি-ক্যাব।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ হাইকমিশনের হেড অব মিডিয়া ফ্রান্সেস জ্যাকস, ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদক জাফর সোবহান, প্রথম আলো পত্রিকার ইংরেজি বিভাগের প্রধান আয়েশা কবির এবং ইউনিভারসিটি অব লিবারেল আর্টসের মিডিয়া স্ট্যাডিজ অ্যান্ড জার্নালিজম বিভাগের অধ্যাপক জুড ডব্লিউজেনিলো। এ ছাড়া প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকরা ওয়েবিনারে উপস্থিত ছিলেন।

সি-ক্যাব গণমাধ্যম ও কৌশলগত যোগাযোগ টুলস (সরঞ্জাম) ব্যবহার করে সময়োপযোগী, নির্ভুল এবং কার্যকর তথ্যের প্রবাহ নিশ্চিত করে।

এমএন/টিআই

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh