• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

বয়ঃসন্ধিকালে শিশুদের প্রতি বাড়তি যত্ন নিতে হবে: চুমকি

আরটিভি নিউজ

  ১১ অক্টোবর ২০২১, ২০:৫৭
বয়ঃসন্ধিকালে, শিশুদের, প্রতি, বাড়তি, যত্ন, নিতে, হবে, চুমকি
অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি এমপি

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি বলেছেন, বয়ঃসন্ধিকালে কিশোরী ও কিশোররা নানা ধরনের মনোদৈহিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায়। এ সময় যেন তারা কোনো ভুল করে না বসে, সে বিষয়ে বাড়তি নজর রাখতে হবে।

সোমবার (১১ অক্টোবর) বিশ্ব কন্যাশিশু দিবসে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘কিশোরী-কিশোরদের আত্ম-উন্নয়নে ইতিবাচক পরিবেশের ভূমিকা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দিবসটি উপলক্ষে ইউনিলিভার বাংলাদেশ (ইউবিএল), আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এবং চিলড্রেন অ্যাফেয়ার্স জার্নালিস্টস নেটওয়ার্ক (সিএজেএন) যৌথভাবে রাজধানী ঢাকায় এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে চুমকি আরও বলেন, “কিশোরী-কিশোরদের সুস্বাস্থ্য সম্পর্কে সবার মাঝে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। সমাজে বাল্যবিয়ের প্রবণতা আমাদের কিশোরীদের চলার পথকে রুদ্ধ করে দিয়েছে। তাই বাল্যবিয়ের সঙ্গে জড়িত পুরুষদের আইনের আওতায় আনতে হবে। এক্ষেত্রে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।’’

অনুষ্ঠানে ইউনিলিভার বাংলাদেশ (ইউবিএল) ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে দেশে ‘ডাভ সেলফ-এস্টিম প্রজেক্ট’ (ডিএসইপি)-এর উদ্বোধন করেন মেহের আফরোজ চুমকি। গোলটেবিল বৈঠকে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রাম চন্দ্র দাস বলেন, “কন্যাশিশুদের অগ্রগতিতে এখন বড় ধরনের অন্তরায় হিসেবে রয়েছে বাল্যবিয়ে। বাল্যবিয়ে রোধ করতে আমাদের গ্রামে গ্রামে বাল্যবিয়ের প্রতিরোধ কমিটিও আছে। তবে করোনা মহামারির এই সময়ে বাল্যবিয়ের বিষয়ে পর্যাপ্ত মনিটরিংয়ের অভাবে বাল্যবিয়ের হার হঠাৎ করে বেড়ে গিয়েছে। সমাজে কন্যাশিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ও নারীর প্রতি বৈষম্য নিরসনে সরকারের পাশাপাশি গণমাধ্যম, এনজিও এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজ করা জরুরি।”

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম বলেন, “স্বাধীনতার পরবর্তী ৩০ বছরের তুলনায় বিগত ১৫-২০ বছরে বাংলাদেশ নারী ক্ষমতায়নে উল্লেখযোগ্য সময় পার করেছে। তবে সময়ের পালাক্রমে বেশ কিছু বিষয়ে বদল এসেছে আমাদের সমাজে। আগে ঘরে ঘরে অনেক সুকুমারবৃত্তির চর্চা হতো কিন্তু বর্তমানে অতিরিক্ত প্রযুক্তি নির্ভরতার কারণে আমরা কিছুটা একা ও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছি। শিশু ও কিশোরী-কিশোরদের আত্মবিশ্বাস তৈরিতে এ বিষয়টির ওপর দৃষ্টি দিতে হবে।”

ইউনিলিভার বাংলাদেশ (ইউবিএল) এর সিইও অ্যান্ড এমডি জাভেদ আখতার বলেন, “ঘরে ঘরে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি ইউনিলিভার বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করছে। বাংলাদেশ সরকারের অংশীদার হিসেবে ইউনিলিভারের ব্র্যান্ডগুলো সামাজিক পরিবর্তনে অবদান রাখছে। এরই অংশ হিসেবে যাত্রা শুরু করেছে ডাভের সেলফ-এস্টিম প্রজেক্ট। ‘ডাভ’ তার ‘ডাভ সেলফ-এস্টিম প্রজেক্ট’ (ডিএসইপি) এর আওতায় ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের ২৫ কোটি তরুণকে ক্ষমতায়নের মিশনে নেমেছে। কিন্তু ইউনিলিভার তা এককভাবে করতে পারবে না। আমাদের লক্ষ্য পূরণে সরকার, সুশীল সমাজ, উন্নয়ন অংশীদার, গণমাধ্যম ও বিশেষ করে আপনাদের সবার সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ।”

প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ওরলা মার্ফি বলেন, “সমাজের সকলস্তরের কণ্ঠস্বর একত্রিত করতে এনজিওগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এদেশে আমাদের কার্যক্রম পরিচালনাকালে আমরা তরুণদের কাছ থেকে অভূতপূর্ব সাড়া পাচ্ছি। তারা আমাদের উৎসাহিত করে ও স্থানীয় সমস্যাগুলো সমাধানে নানাভাবে সাহায্য করছে।

চিলড্রেন অ্যাফেয়ার্স জার্নালিস্টস নেটওয়ার্কের সভাপতি মাহফুজা জেসমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে তিনজন কিশোরী ও কিশোর অংশ নেন। সমাজে মুখোমুখি হওয়া চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে কীভাবে শরীরী ভাষায় আত্মবিশ্বাস তৈরির মাধ্যমে ইতিবাচক সামাজিক প্রভাব তৈরিতে গণমাধ্যম, সুশীল সমাজ, উন্নয়ন অংশীদার, ব্র্যান্ড ও সরকার যৌথভাবে ভূমিকা রাখতে পারে তারা সে বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করেন।

এনএইচ/এসকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh