করোনায় মৃত গ্রাহকের টাকা তুলে নিলেন ব্যাংক কর্মকর্তা
ব্যাংকে গিয়ে অসুস্থ হয়ে হয়ে পড়ায় আর টাকা তোলা হয়নি গ্রাহক মোস্তাফিজুর রহমান আলমগীরের। ব্যাংকে চেকটি রেখেই তিনি চলে যান।
পরবর্তীতে আলমগীরের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ায় গত ২৫ মার্চ তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করালে সেখানে তিনি মারা যান। তার মৃত্যুর পর চেকটি না পেয়ে নিহতের স্ত্রী বংশাল থানায় একটি জিডি করেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ঢাকার নাজিরা বাজারে পপুলার সাইকেল মাঠ নামক একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল আলমগীরের। তিনি মামলার সাক্ষী মো. বিল্লাল হোসেনের কাছ থেকে ৩৭ লাখ পেতেন। সেই টাকা পরিশোধের জন্য বিল্লাল হোসেন আলমগীরকে পূবালী ব্যাংক, নয়াবাজার শাখার একটি চেক প্রদান করেন। পূবালী ব্যাংক চকবাজার শাখায় চেকটি জমা দিতে গত ২১ মে ওই শাখায় ভায়রা শরীফ প্রধানের কাছে যান আলমগীর। শরীফ প্রধানকে তিনি চেকটি দেন। এ সময় অসুস্থতা বোধ করায় চেকটি স্বাক্ষর ছাড়াই তিনি রেখে আসেন।
জিডির তদন্তে বংশাল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) প্রতাপ চন্দ্র দাস জানতে পারেন আলমগীরের স্বাক্ষর জাল করে পূবালী ব্যাংকের চকবাজার শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার মো. শরীফ প্রধান একই শাখার সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মো রফিকুল ইসলাম চেকটি জমা দিয়ে ৩৭ লাখ টাকা তুলে নেন।
ঢাকা সিএএম আদালতে গত রোববার এমন অভিযোগে একটি মামলা করেছেন নিহত গ্রাহকের শ্যালক ঢাকার বংশাল থানাধীন ৪/২, বাগদাসা লেনের বাসিন্দা সালেহ আহমেদ। সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরা শুনানি শেষে সিআইডি পুলিশকে অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
জেএইচ/
মন্তব্য করুন