বাইকে আগুনের ঘটনায় সার্জেন্টের দোষ আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে
জীবিকার তাগিদে নেমেছেন রাইড শেয়ারিং পেশায়। কিন্তু ট্রাফিক পুলিশের দ্বারা একের পর এক হয়রানির শিকার হয়ে শেষ পর্যন্ত ক্ষোভে মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন শওকত আলী।
সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর বাড্ডা লিংক রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
-
আরও পড়ুন... বাইকে আগুন দেয়া নিয়ে যা বললেন সেই চালক
এ ঘটনায় ট্রাফিক সার্জেন্টের কোনো দোষ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে তাকে (শওকত আলী) মানসিকভাবে অসুস্থ বলে মনে হচ্ছে। তবে দোষ কার তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গুলশান ট্রাফিক বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি যেখানে ঘটেছে সেখানে সকালে যেন কোনো মোটরসাইকেল না দাঁড়ায়, এমন নির্দেশনা ছিল দায়িত্বরত ট্রাফিক সদস্যদের প্রতি। ঘটনাস্থলে রাইড শেয়ারিংয়ের (পাঠাও) একটি মোটরসাইকেল দাঁড়ালে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা চালকের কাছে কাগজপত্র দেখতে চান। কিন্তু ওই চালক তা না দেখিয়ে উল্টো রেগে গিয়ে নিজের বাইকে আগুন ধরিয়ে দেন।
-
আরও পড়ুন... পাঠাও-উবার চালকদের কর্মবিরতির ডাক
জানা গেছে, করোনা মহামারির আগে শওকত আলীর স্যানিটারি পণ্যের দোকান ছিল। আয়ও ছিল বেশ ভালো। ব্যবসা দিয়েই চলছিল তার সংসার। কিন্তু করোনার ভয়াল গ্রাসে ব্যবসা বন্ধ করতে বাধ্য হন শওকত আলী। গত দেড় বছর ধরে ব্যবসা বন্ধ তার। এ অবস্থায় সম্প্রতি জীবন-জীবিকার তাগিদে একটি মোটরসাইকেল নিয়ে রাস্তায় নামেন। দেড় বছর ধরে রাইড শেয়ারিং অ্যাপে মোটরসাইকেল চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছিলেন শওকত আলী।
জেএইচ/
মন্তব্য করুন