গাড়িচালক মালেকের রায় শুনে কান্নায় ভেঙে পড়লেন স্বজনরা
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক আব্দুল মালেকের (৬৩) বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের মামলার রায় ঘোষণা করেছে ট্রাইব্যুনাল। রায়ে দুই ধারায় ১৫ বছর করে মোট ৩০ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ সময় রায় শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন তার স্বজনেরা। তাদের মধ্যে কেউ কেউ অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলমের আদালত এ রায় দেন।
- আরও পড়ুন... ভুল স্বীকার রাসেলের, দায়ও নেবেন
ড্রাইভার মালেকের মা আয়েশা বেগম দাবি করেন, তার ছেলে নির্দোষ। তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
মালেকের বোন বলেন, ভাইয়ের সঙ্গে আমাকেও এরেস্ট করে নিয়ে যান। আমিও নির্দোষ ভাইয়ের সঙ্গে জেল খাটবো। আমার আর সহ্য হয় না। বাবা নেই; এই ভাই আমাদের বড়।
রায় শেষে যখন ড্রাইভার মালেককে আদালত থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তখন মালেক সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আমাকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। সব সাক্ষী মিথ্যা। কোনো অস্ত্র আমার কাছে ছিল না। মিথ্যা মামলায় আমাকে কারাভোগ করতে হবে।
-
আরও পড়ুন... ক্লাসরুমে ৫ ছাত্রীর টিকটক ভিডিও ভাইরাল, অতঃপর
এর আগে ১৩ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলমের আদালত রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর তুরাগ থানাধীন কামারপাড়াস্থ ৪২ নম্বর বামনেরটেক হাজী কমপ্লেক্সের তৃতীয় তলার বাসা থেকে আব্দুল মালেককে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন, পাঁচ রাউন্ড গুলি, দেড় লাখ বাংলাদেশি জাল নোট, একটি ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয় বলে জানায় র্যাব। এ ঘটনায় র্যাব-১ এর পুলিশ পরিদর্শক আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন।
- আরও পড়ুন... মসজিদে বক্তব্য দিয়ে ঢাকা রেঞ্জ সেরা ওসি সওগাতুল
জেএইচ/
মন্তব্য করুন