• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

বাবার কাছে জবাব চাইলেন জাপানি নারীর দুই কন্যা

আরটিভি নিউজ

  ২৬ আগস্ট ২০২১, ১৫:২০
বাবার কাছে জবাব চাইলেন জাপানি নারীর দুই কন্যা
ফাইল ছবি

জাপানি আইন অনুযায়ী নাকানো এরিকো (৪৬) ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকার নাগরিক শরীফ ইমরান (৫৮) বিয়ে করেন। এরপর তাদের কোলজুড়ে আসে তিন সন্তান। তাদের বয়স যথাক্রমে ১১, ১০ ও ৭ বছর। গত ১৮ জানুয়ারি বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করেন এরিকো। এর পর জল অনেক দূর গড়ায়। দুই মেয়েকে নিয়ে চলে আসেন শরীফ। পরে ঢাকায় ছুটে আসে তার মা এরিকো। বর্তমানে শিশু দুটির অধিকার নিয়ে চলছে আইনি লড়াই।

গেল ২৩ আগস্ট জাপানি দুই শিশুকে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তেজগাঁওয়ের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে উন্নত পরিবেশে রাখার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত জাপানি মা এবং বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বাংলাদেশি বাবা শিশুদের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ পাচ্ছেন। তবে এসব ঘটনায় মোটেও খুশি নন তাদের মেয়েরা।

আজ দুপুরে দুই মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে যান তাদের বাবা ইমরান শরীফ। সেসময় তারা বলেন, ‘তোমাদের (বাবা-মা) মধ্যে সমস্যা আমরা কী দোষ করেছি? আমাদের কেন এখানে রাখা হচ্ছে? আমাদের আর এখানে ভালো লাগছে না, আমাদের দ্রুত এখান থেকে বের করার চেষ্টা করো।’

মেয়েদের সঙ্গে দেখা করে বের হয়ে ইমরান শরীফ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘একদম চুপ হয়ে গেছে মেয়েগুলো। তারা এখন কম কথা বলে। এমন পরিস্থিতি দেখে মেয়েগুলো ডিপ্রেশনে চলে গেছে। তারা জানতে চাচ্ছে কখন তাদের বের করে নিয়ে যাব।’

তিনি আরও বলেন, ‘তাদের মা ও আমার মধ্যে সমস্যা আছে তা ঠিক। কিন্তু আমরা কেউ তো বাচ্চাদের কম ভালোবাসি না। তাহলে তারা এখানে থাকবে কেন? ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের নারী পুলিশ সদস্যরা অনেক হেল্পফুল হলেও আমার মেয়েদের অনেক সমস্যা হচ্ছে। তারা অনেক হাইজেনিক, এখানে যেভাবে তাদের খাবার দেওয়া হয় তারা এতে খুব ভয় পেয়ে যায়। তারা আর এখন থাকতে চাচ্ছে না।’

এদিকে বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) বাবা মা একমত হয়ে আদালতে আবেদন দাখিল করলে দুই জাপানি শিশুকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের পরিবর্তে উন্নত হোটেলে রাখার আদেশ দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

শিশুদের বাবার আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম ফিরোজ ও অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক আদালতে বলেন, ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে দুই শিশুর কষ্ট হচ্ছে। শিশুদের বাবা হোটেলের সব খরচ বহন করবে। আমরা শিশুদের হোটেলে রাখার জন্য আবেদন করেছি।

তখন আদালত বলেন, শিশুদের মা ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার নিয়ে কোনও অভিযোগ করছেন না। তারা বলছেন, শিশুরা ভালো আছে। আপনারা উভয়পক্ষ যদি শিশুদের হোটেলে বা কোনো বাসায় রাখতে একমত হন, তবেই আমরা শিশুদের হোটেলে রাখার ব্যাপারে আদেশ দিতে পারি।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
সড়কে শৃঙ্খলা জোরদারে বিআরটিএ’র নতুন সিদ্ধান্ত
পরীমণিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি
বিএনপি নেতা হাবিব কারাগারে
ঘোড়াঘাটে ৬ মোটরসাইকেল আরোহীকে জরিমানা
X
Fresh