সিলেট-৩ আসন: ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভোট করতে নির্দেশ
সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকায় সিলেট-৩ আসনের উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
নির্বাচন স্থগিত চেয়ে রিট অকার্যকর ঘোষণা করে বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের একক বিশেষ হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
আদালত বলেছেন, এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশন তাদের সুবিধাজনক দিনে ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করতে পারবেন। তবে ১০ আগস্টের মধ্যে ভোটগ্রহণ করা যাবে না।
এর আগে ভোট স্থগিত রাখার অনুরোধ জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদাকে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ আইনজীবীর পক্ষে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির এ নোটিশ দিয়েছিলেন।
নেটিশে বলা হয়, গত ১১ মার্চ সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়। ১৫ মার্চ নির্বাচন কমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে ওই আসন শূন্য ঘোষণা করে। ২৯ এপ্রিল নির্বাচন কমিশনের প্রজ্ঞাপন বলা হয়, সংবিধান অনুযায়ী ৮ জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিধান রয়েছে। কিন্তু দৈব দুর্বিপাকের কারণে তা সম্ভব না হওয়ায় সংবিধান অনুযায়ী আরও ৯০ দিন সময় বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ পায় ইসি। এরপর গত ২ জুন ওই উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। তফসিলে ১৪ জুলাই ভোটগ্রহণের দিন নির্ধারণ করা হয়। পরে ইসি ১৫ জুন তারিখ পরিবর্তন করে ভোটগ্রহণের দিন নির্ধারণ করে ২৮ জুলাই।
নোটিশে আরও বলা হয়েছে, দৈব দূর্বিপাকের কারণে সংবিধান অনুযায়ী সিলেটের এ উপনির্বাচন অনুষ্ঠানের সময়সীমা ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। তাই ২৮ জুলাইয়ে অনুষ্ঠিতব্য উপ নির্বাচন স্থগিত করা যাবে না-এ বক্তব্য আইনের সঠিক ব্যাখ্যা নয়। ইসির উচিত চলমান করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি বিবেচনায় নিয়ে লকডাউনের সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন না করা এবং ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অন্য যে কোনও সময়ে ভোটগ্রহণের দিন নির্ধারণ করা। ৩ লাখ ৫২ হাজার ভোটারের এ নির্বাচন অনুষ্ঠান সরকারের বর্তমান লকডাউন নীতিরও বিরোধী।
করোনা আক্রান্ত হয়ে এ বছরের ১১ মার্চ সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর মৃত্যু হয়। এরপর ১৫ মার্চ আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তফসিল ঘোষণার পর ৯০ দিন পেছালেও ২৮ জুলাই ভোটগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়। ওইদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইভিএমে বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণের কথা ছিল।
এসএস
মন্তব্য করুন