এবার ট্রেন যাত্রায় স্বস্তি ঈদে ঘরমুখো মানুষের
করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি আছে জেনেও পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে রাজধানী ছাড়ছে মানুষ। কমলাপুর রেল স্টেশনে ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ কিছুটা বেড়েছে। অন্যান্যবারের মতো হুড়োহুড়ি করে ট্রেনে উঠতে হচ্ছে না যাত্রীদের। তবে নির্বিঘ্নে ঘরে ফিরতে পারলেও রাজধানীতে ফেরা নিয়ে আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন যাত্রীরা।
শনিবার (১৭ জুলাই) অর্ধেক যাত্রী নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ট্রেন চলাচলের তৃতীয় দিন স্টেশন চত্বরে এমন নির্বিঘ্ন যাত্রার চিত্র দেখা গেছে।
এখনও ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ের চিত্র দেখা যায়নি। আজ সকাল সাড়ে ছয়টায় প্রথম সিলেটগামী পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনটি যাত্রা শুরু করে। এরপর শিডিউল অনুযায়ী অন্যান্য রুটের ট্রেন চলতে দেখা গেছে। যাত্রীরাও যথাসময়ে ট্রেনে উঠতে পেরেছেন।
রেল কর্তৃপক্ষ বলছেন, সরকার নির্দেশিত সব শর্ত মেনে ট্রেন ছেড়ে যাচ্ছে।
দীর্ঘ লাইনে দাঁড়ানোর ঝামেলা এড়িয়ে অনলাইনে টিকিট কাটতে পেরে খুশি অনেক যাত্রী। তবে সার্ভার জটিলতায় দীর্ঘ চেষ্টার পরে টিকিট পাওয়া নিয়ে অভিযোগ করেছেন অনেকেই।
সিলেটে যাওয়ার জন্য শাহ আলী ও তার পরিবার অপেক্ষা করছিলেন জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেনে ওঠার জন্য। তবে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। সময় মতই ট্রেনে উঠতে পারলেন। ট্রেনে ওঠার আগে কথা হয় শাহ আলীর সাথে। তিনি বলেন, ঈদে ট্রেনে যেতে যেসব ভোগান্তি পোহাতে হয় তা হয়নি এবার। তবে প্রথমে অনলাইনে সার্ভার জটিলতার জন্য টিকিট কাটতে পারছিলাম না। কিন্তু তারপর পেয়েছি এবং স্ত্রী সন্তান নিয়ে বাবা-মার সাথে ঈদ করতে যাচ্ছি। কিন্তু ফিরবো কি করে সেটা নিয়ে একটু চিন্তাই আছি।
নোমান নামে আর এক যাত্রী বলেন, টিকেট পেতে ভালোই সমস্যা হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পেয়েছি। আমরা স্টুডেন্ট আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তো বন্ধ। তাই ফেরা নিয়ে তেমন চিন্তা করছি না।
কমলাপুর রেলস্টেশনের ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারোয়ার বলেন, আমরা ট্রেনে স্বাস্থ্যবিধির দিকে গুরুত্ব দিচ্ছি বেশি। এক সিট খালি রেখেই ট্রেন চলাচল করছে। প্রতিদিন ঢাকা থেকে চলাচল করছে ২৫ জোড়া ট্রেন। ২২ জুলাই পর্যন্ত আমরা অনলাইনে টিকেট দিবো। পরবর্তী নির্দেশনা এলে বাকিটা বলতে পারব।
এসকে/পি
মন্তব্য করুন