• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

গায়েবি মামলায় হয়রানি ঠেকাতে হাইকোর্টের ৫ দফা নির্দেশনা

আরটিভি নিউজ

  ২৪ জুন ২০২১, ১১:৫৬
গায়েবি মামলায় হয়রানি ঠেকাতে হাইকোর্টের ৫ দফা নির্দেশনা
হাইকোর্ট। ফাইল ছবি

গায়েবি মামলা দায়েরের মাধ্যমে নিরাপরাধ ব্যক্তিদের হয়রানি থেকে রক্ষায় ৫ দফা নির্দেশনা দিয়েছে হাইকোর্ট। বুধবার (২৩ জুন) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ লিখিত এসব নির্দেশনা দেয়।

পাঁচ দফা নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মামলা করার ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা পাসপোর্ট নম্বর প্রদান করতে হবে। বাদীর জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলে তাকে শনাক্তকারীর জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর উল্লেখ করতে হবে।

এছাড়া বিশেষ পরিস্থিতিতে জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট নম্বর না থাকলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা এজহারকারির পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য নিজ বিবেচনায় অন্যান্য যথাযথ পদ্ধতি গ্রহণ করবেন।

আদালত কিংবা ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিলের ক্ষেত্রে অভিযোগকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট না থাকলে সংশ্লিষ্ট আইনজীবী অভিযোগকারীকে শনাক্ত করবেন।

অভিযোগকারী প্রবাসী কিংবা বিদেশি নাগরিক হলে নিজ দেশের পাসপোর্ট নম্বর উল্লেখ করতে হবে।

দেশে ভুয়া মামলা ঠেকাতে গত ১৪ জুন থানায় বা আদালতে মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে মামলার বাদীকে জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক করার নির্দেশ দেয় আদালত। পাশাপাশি গায়েবি মামলার বাদী খুঁজে বের করতে সিআইডিকে তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

৪৯ ভুয়া মামলা নিয়ে হয়রানির শিকার রাজধানীর শান্তিবাগের বাসিন্দা একরামুল আহসান কাঞ্চনের আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত এ আদেশ দেয়।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। ৪৯ মামলা মাথায় নিয়ে দীর্ঘ দিন জেল খাটার পর এর থেকে পরিত্রাণ পেতে গত ৭ জুন হাইকোর্টে রিট করেন একরামুল আহসান কাঞ্চন।

রিটে স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের আইজিপি, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক (এসবি), অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক (সিআিইড), মহাপরিচালক র‍্যাব, ঢাকার পুলিশ কমিশনারসহ ৪০ জনকে বিবাদী করা হয়।

ঢাকার শান্তিবাগ এলাকার বাসিন্দা একরামুল আহসান কাঞ্চনের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জেলায় নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, চুরি ডাকাতি, মানবপাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৪৯টি মামলা হয়।

এসব মামলায় তাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়। কিন্তু একটি মামলারও বাদী খুঁজে পাওয়া যায়নি। বাদী খুঁজে না পাওয়ায় অনেক মামলাতে খালাসও পেয়েছেন তিনি।

তারপরও তার বিরুদ্ধে এভাবে গায়েবি মামলা দিয়ে হয়রানি করায় তার মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। এসব মামলায় ১ হাজার ৪৬৫ দিন জেলে খেটেছেন বলেও রিটে উল্লেখ করা হয়েছে।

এমএন/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh