• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ঢামেক হাসপাতালের কাছে ৩০ হোটেলের ৪০ কোটি টাকা বিল বকেয়া

আরটিভি নিউজ

  ২১ জুন ২০২১, ১৫:১০
ঢামেক হাসপাতালের কাছে ৩০ হোটেলের ৪০ কোটি টাকা বিল বকেয়া
ঢামেক হাসপাতালের কাছে ৪০ কোটি টাকা বকেয়া বিলের দাবিতে ৩০ হোটেল মালিকদের মানববন্ধন

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে ৩০টি হোটেলের ৪০ কোটি টাকা বিল বকেয়া রয়েছে। ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক জানিয়েছেন, যত দ্রুত সম্ভব এই বিল পরিশোধ করা হবে।

করোনাকালে চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য হোটেল কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল সংশ্লিষ্টদের ৩০টি হোটেলে তিন মাস রাখা হয়। যার বিল এসেছে ৪০ কোটি টাকা। এই বিলের পুরোটাই বকেয়া। সোমবার (২১ জুন) সকালে বকেয়া হোটেল বিল পরিশোধের দাবিতে ঢামেক হাসপাতালের প্রশাসনিক ব্লকের সামনে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল হোটেল অ্যাসোসিয়েশন (বিহা) মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। পরে তারা পরিচালকের কাছে স্মারকলিপি দেন।

মানববন্ধনে বিহা’র ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট কমিটির কো-চেয়ারম্যান খালেদ-উর-রহমান বলেন, ঢামেক হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হোটেলে কোয়ারেন্টিনের জন্য আমাদের হোটেলগুলোয় খাবারসহ আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়। হোটেলগুলোর সঙ্গে ঢাকা মেডিকেলের চুক্তির অন্যতম শর্ত ছিল- হোটেল কর্তৃপক্ষ প্রতি দশ দিন পর পর ঢাকা মেডিকেল কর্তৃপক্ষের কাছে বিল সাবমিট করবে এবং সাত কার্যদিবসের মধ্যে বিল পরিশোধ করা হবে। আমরা নানা বিধিনিষেধ অতিক্রম করে গতবছরের আগস্ট থেকে জুলাইয়ের বিল সাবমিট করি। কিন্তু ১১ মাস পার হলেও এখন পর্যন্ত কোনো বিল আমরা পাইনি। মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করা হলে তারা বিল ছেড়ে দিয়েছেন বলে জানায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমরা বারবার যোগাযোগ করলেও কোনো সুফল পাচ্ছি না।

বিহা’র সহ-সভাপতি সাইদুল আলম টিটো বলেন, আমাদের হোটেল ব্যবসার অবস্থা খুবই খারাপ। এর মধ্যে দেশের আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলো ওঠানামা বন্ধ রয়েছে। এই ৪০ কোটি টাকা আমাদের কাছে তেমন কোনো বড় বোঝা নয়। কিন্তু করোনায় আমাদের ব্যবসার অবস্থা ভালো না থাকায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন দিতে পারছি না। আমাদের অনেক ইউটিলিটি বিল জমে গেছে। তারা বারবার আমাদের নোটিশ দিচ্ছে বিলগুলো দেওয়ার জন্য। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিলসহ অন্যান্য ইউটিলিটি বিল এবং বেতন-ভাতা পরিশোধে আমরা ব্যর্থ হচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের আবেদন, ইউটিলিটি বিলগুলো একবছরের রেফার্ড পেমেন্টের (কোনো প্রকার ইন্টারেস্ট ছাড়া) সুযোগ দেওয়ার জন্য আপনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ বিষয়ে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক বলেন, তাদের বিলের মধ্যে কিছু অসংগতি ছিল, এগুলো আপনারা ভালো করে জানেন। সে বিষয়টি আমি উল্লেখ করতে চাচ্ছি না। অনেকে যেটা পাওনা তার চেয়ে বেশি সাইন করেছেন। পরে অডিট এসে সেগুলো পর্যালোচনা করেছে। আমরা চলতি মাসের (৩০ জুন) মধ্যে বিল পরিশোধের চেষ্টা করবো।
পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ট্রেনের টিকিট : একদিনে গ্রাহকের ৪০ কোটি টাকা লোকসান
বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে ১৪০ কোটি ডলার বিনিয়োগ সৌদির
দোকান থেকে বেতন নিয়ে ঘরে ফেরা হলো না ইউসুফের
X
Fresh