• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

রাজধানীর ঐতিহাসিক মুক্তাঙ্গনে হচ্ছে এসটিএস কেন্দ্র

আরটিভি নিউজ

  ০৮ জুন ২০২১, ১১:৪৬
রাজধানীর ঐতিহাসিক মুক্তাঙ্গনে হচ্ছে এসটিএস কেন্দ্র
রাজধানীর ঐতিহাসিক মুক্তাঙ্গনে হচ্ছে এসটিএস কেন্দ্র

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) রাজধানীর পুরানা পল্টন ও জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন ঐতিহাসিক মুক্তাঙ্গনে নির্মাণ করতে যাচ্ছে সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) বা ময়লা-আবর্জনা রাখার কেন্দ্র। দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের সাক্ষী রাজধানীর ঐতিহাসিক মুক্তাঙ্গনে ময়লা রাখার এসটিএস নির্মাণ নিয়ে সমালোচনা করছেন অনেকে।

সরেজমিনে মুক্তাঙ্গনে গিয়ে এবং খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন বারবার উচ্ছেদ অভিযান চালালেও পুরো মুক্তাঙ্গন দখল অবস্থায় রয়েছে। বর্তমানে মাইক্রোবাস ও কার মালিক সমিতি জায়গাটি দখল করে এখানে রেন্ট-এ-কার ব্যবসা চালাচ্ছে। পাশেই ময়লা-আবর্জনার দুটি কন্টেইনার। বিভিন্ন স্থান থেকে ভ্যানে করে বাসাবাড়ি ও দোকানপাটের বর্জ্য এনে এখানে জমা করা হচ্ছে। তার ঠিক পাশেই টিন দিয়ে ঘিরে এসএটিএস নির্মাণের কাজ চলছে। ভেতরে পিলারসহ বাউন্ডারি নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।

ডিএসসিসি সূত্রে জানা গেছে, এ সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশনটির (এসটিএস) দৈর্ঘ্য ৬০ ফুট ও প্রস্থ ৬০ ফুট হবে। আর উচ্চতা হবে প্রায় ২২ ফুট। আগামী মাসের মধ্যে এর নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। মুক্তাঙ্গনের ফাঁকা জায়গায় শিশুদের জন্য রাইডস বসাতে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকার একটি কর্মপরিকল্পনাও হাতে নিয়েছে ডিএসসিসি।

আন্দোলন-সংগ্রামের অন্যতম স্থান হিসেবে পরিচিত রাজধানীর মুক্তাঙ্গনে গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সেই প্রাণচাঞ্চল্য নেই। এখন এখানে কোনো রাজনৈতিক সভা, সমাবেশ ও মিছিল না হলেও এমন একটি ঐতিহাসিক স্থানে সিটি করপোরেশনের সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) নির্মাণের বিষয়টি মানতে পারছেন না সচেতন নাগরিকেরা।

বিষয়টি নিয়ে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) এর চেয়ারম্যান আবু নাসের আরটিভি নিউজকে বলেন, মুক্তাঙ্গনকে একটি ঐতিহাসিক স্থান হিসেবে আলাদা মর্যাদায় রাখা উচিত। এখানে মানুষ বক্তৃতা করবে, মানববন্ধন করবে, সভা সমাবেশ করবে। যদি মুক্তাঙ্গনকে মুক্ত রেখে সুন্দর করে গড়ে তোলা হয়, তবে সেটিই খুব ভালো সিদ্ধান্ত হবে। এসটিএস নির্মাণ কোনোভাবেই উচিত হবে না।

এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এনামুল হক বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন প্রতিটি ওয়ার্ডে এসটিএস নির্মাণ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় মুক্তাঙ্গনে এসটিএস নির্মাণ করা হচ্ছে। আবার রাইড বসানোসহ শিশুদের খেলাধুলার উপযোগী পরিবেশ তৈরি করা হবে।

উল্লেখ্য, স্বাধীনতার আগে প্রায় ৮৪ শতাংশ জমির ওপর মুক্তাঙ্গন পার্কটি গড়ে উঠলেও ১৯৭৯ সাল থেকে রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশের জন্য ব্যবহৃত হতে শুরু করে। নব্বইয়ের দশকে মুক্তাঙ্গন পার্কে নিয়মিত সভা-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হতো। এরপর থেকেই পার্কটিতে দখল শুরু হয়।
পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধে রাজধানীতে র‌্যালি
রাজধানীর শিশু হাসপাতালে আগুন
রাজধানীতে গ্রেপ্তার ২৭
রাজধানীতে সেলুন থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার
X
Fresh