• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

রানা প্লাজা লোভ ও উদাসীনতার ট্র্যাজেডি

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২৩ এপ্রিল ২০১৭, ১৫:১৭

রানা প্লাজা দুর্ঘটনা আমাদের ঘুম ভাঙানোর ডাক ছিল। মানুষ সৃষ্ট এ দুর্ঘটনা না ঘটলে হয়তো গার্মেন্টস সেক্টরে বর্তমানে যে সংস্কার হচ্ছে তা হতো না। রানা প্লাজা ধসের ঘটনাটি নিছক দুর্ঘটনা নয়। ভবন মালিক ও গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষের লোভ ও উদাসীনতার ফলে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ঘটনা ঘটে।

বললেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. এম এম আকাশ।

রোববার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে সাভারে রানা প্লাজা দুর্ঘটনার চতুর্থ বছর উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি এ কথা বলেন। ব্র্যাকের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু বিষয়ক কর্মসূচি নিয়ে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

অর্থনীতিবিদ এমএম আকাশ বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় দুর্ঘটনার আগের দিন রানা প্লাজার ভবন থেকে ব্র্যাক ব্যাংকের কাগজপত্র ও সরঞ্জামাদি সরিয়ে ফেলা হয়েছিল। ওইদিন শ্রমিকরা ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ঢুকতে চাননি। কিন্তু কাজে যোগদান না করলে চাকরি থাকবে না, বেতন আটকে দেয়ার ভয় দেখানো হয়। তখন কোনো উপায় না পেয়ে কাজে যোগ দেন কর্মীরা।

রানা প্লাজায় ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীদের ক্ষতিপূরণের জন্য গঠিত কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন এমএম আকাশ।

আলোচনা সভায় রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় এক হাজার ১৩৪ জন নিহত এবং দুই হাজারের বেশি শ্রমিক আহত হন বলে বক্তারা জানান।

সভায় উপস্থিত ছিলেন সচিব খন্দকার মোস্তান হোসেন, রানা প্লাজা ক্লেইমস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের সিনিয়র ক্লেইমস পর্যবেক্ষক ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাওসার, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের যুগ্ম-সচিব ও অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মো. আনোয়ার হোসেন। সভাপতিত্ব করেন ব্র্যাকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. আহমেদ মোশতাক রাজা চৌধুরী।

এমসি/সি

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh