বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার মত ইউজিসির
উচ্চশিক্ষার স্থবিরতা কাটাতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে রোস্টার করে খুলে দেওয়ার সুপারিশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। তার আগে সব শিক্ষার্থীকে করোনা টিকার আওতায় আনার সুপারিশ করেছে সংস্থাটি।
করোনার সংক্রমণ কমতে থাকায় সরকারি বিধিনিষেধ শিথিল করে গণপরিবহনসহ প্রায় সবকিছুই খুলে দেয়া হয়েছে। যদিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার। এরমধ্যে শিক্ষার্থীরা সারা দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সারা দেশের ১২০টি আবাসিক হলের ৯১ হাজার শিক্ষার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া সাড়ে তিন লাখ শিক্ষার্থীর সকল তথ্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তথ্যমতে, সরকারি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সাড়ে তিন লাখ শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত। তাদের মধ্যে ১২০টি আবাসিক হলে ১ লাখ ৩০ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। ইউজিসি বলছে, আবাসিক হলে কাগজে-কলমে ১ লাখ ৩০ হাজার শিক্ষার্থীর কথা বলা হলেও মূলত হলগুলোতে থাকে দুই লাখের বেশি শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ৯১ হাজার শিক্ষার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে। তাদের সবাইকে করোনা টিকার আওতায় আনার প্রস্তাব করেছে মঞ্জুরি কমিশন। সম্ভব হলে আবাসিক-অনাবাসিক সবাইকে করোনা টিকার আওতায় আনার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে দুই ধরনের অপশন রেখে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে সুপারিশ করেছে ইউজিসি। সরকার যেটাকে সুবিধাজনক মনে করবে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেবে। তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছে ইউজিসি।
ইউজিসি সঙ্গে একমত পোষণ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) উপাচার্য ড. একিউএম মাহবুব বলেন, দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের নানা ধরনের সমস্যা হচ্ছে। এছাড়া শিক্ষার্থীরা নিজেরাই চাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হোক। সেজন্য একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে ব্যাচ ও বিভাগ অনুযায়ী সশরীরে পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে।
পি
মন্তব্য করুন