• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজীকে শেষ শ্রদ্ধা, দাফন আজিমপুরে

আরটিভি নিউজ

  ২৫ মে ২০২১, ১১:৩০
কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজীকে শেষ শ্রদ্ধা, দাফন আজিমপুরে
বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজীকে শেষ শ্রদ্ধা

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজীর মরদেহে সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের হিমাগার থেকে মঙ্গলবার (২৫ মে) সকাল ১০টার দিকে বাংলা একাডেমিতে নিয়ে আসা হয় তার মরদেহ। বাংলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় প্রতিষ্ঠানটির নজরুল মঞ্চে তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়।

বাংলা একাডেমির সচিব ও ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক এ এইচ এম লোকমান বলেন, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে শেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন শেষে এখানে প্রথম জানাজা হয়। এরপর আজিমপুর কবরস্থানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে সেখানে তাকে দাফন করা হয়।

তার আগে সোমবার (২৪ মে) রাত ১১টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়েস হয়েছিল ৭২ বছর। কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত হাবীবুল্লাহ সিরাজীকে গত ২৫ এপ্রিল রাজধানীর শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে কয়েকদিন ধরে তিনি ভেন্টিলেশনে ছিলেন।

কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজীর জন্ম ১৯৪৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর ফরিদপুরে। ফরিদপুর জিলা স্কুল থেকে মাধ্যমিক, ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে উচ্চশিক্ষা লাভ করেন তিনি। তারপর থেকে তিনি বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে উচ্চপদে আসীন ছিলেন।

কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী জাতীয় কবিতা পরিষদ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। ২০১৮ সাল থেকে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। ২০১৬ সালে একুশে পদক, ১৯৯১ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারসহ দেশি-বিদেশি নানা পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন হাবীবুল্লাহ সিরাজী।

তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ হলো- ‘দাও বৃক্ষ দাও দিন’, ‘মোমশিল্পের ক্ষয়ক্ষতি’, ‘হাওয়া কলে জোড়াগাড়ি’, ‘নোনা জলে বুনো সংসার’, ‘স্বপ্নহীনতার পক্ষে’, ‘আমার একজনই বন্ধু’, ‘পোশাক বদলের পালা’, ‘সিংহদরজা’, ‘বেদনার চল্লিশ আঙুল’, ‘ম্লান, ম্রিয়মাণ নয়’, ‘বিপ্লব বসত করে ঘরে’, ‘ছিন্নভিন্ন অপরাহ্ণ’, ‘জয় বাংলা বলো রে ভাই’, ‘সারিবদ্ধ জ্যোৎস্না’, ‘সুগন্ধ ময়ূর লো’, ‘মুখোমুখি: তুচ্ছ’, ‘কতো আছে জলছত্র’, ‘কতোদূর চেরাপুঞ্জি’, ‘কাদামাখা পা’, ‘ভুলের কোনো শুদ্ধ বানান নেই’, ‘একা ও করুণা’, ‘যমজ প্রণালী’, ‘আমার জ্যামিতি’ ও ‘পশ্চিমের গুপ্তচর’।

উপন্যাস- ‘কৃষ্ণপক্ষে অগ্নিকাণ্ড’, ‘পরাজয়’, ‘আয় রে আমার গোলাপজাম’, অনুবাদ- ‘মৌলানার মন: রুমীর কবিতা’, আত্মজৈবনিক গ্রন্থ- ‘আমার কুমার’, গদ্যগ্রন্থ ‘দ্বিতীয় পাঠ’, ‘মিশ্রমিল’, ‘গদ্যের গন্ধগোকুল’, শিশুসাহিত্য- ‘ইল্লিবিল্লি’, ‘নাইপাই’, ‘রাজা হটপট’, ‘ফুঁ’, ‘ফুড়ুত্’, ‘মেঘভ্রমণ’, ‘ছয় লাইনের ভূত’ ও ‘ছড়াপদ্য’।

তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

অপরদিকে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি ও সচিব মো. বদরুল আরেফীন।
পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
শিল্পকলায় শেষ শ্রদ্ধা, গাজীপুরে দাফন
X
Fresh