• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

মৃত্যু থেকে স্বজনদের সঙ্গে ঈদ জরুরি? (ভিডিও)

আরটিভি নিউজ

  ১২ মে ২০২১, ১৭:৪৯

মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাটে নামার সময় হুড়োহুড়িতে ৬ জন মারা গেছেন। এ ঘটনায় অসুস্থ হয়েছেন প্রায় অর্ধশতাধিক।

বুধবার (১২ মে) দুপুরে শাহ পরান ও এনায়েতপুরী নামের দুটি ফেরিতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরেও টনক নড়েনি যাত্রীদের। একদিকে দুর্ঘটনায় প্রাণহানির খবর আসছে, অন্যদিকে সেই ঝুঁকি নিয়েই চলছে গাদাগাদি করে ফেরিতে পারাপার। এ যেন মৃত্যুর থেকে বাড়িতে ঈদ জরুরি।

করোনা মহামারি প্রতিরোধে জনসাধারণের চলাচল সীমিত করতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিধিনিষেধ বা শর্তারোপ করে সরকার। তাতে কি? আগে সবার সঙ্গে ঈদ করতে হবে। মৃত্যু বিষয় না।
তাই ঝুঁকি নিয়েই চলছে ঈদযাত্রা। যে যেভাবে পারছেন ছুটে চলছেন। সবার গন্তব্য গ্রামের বাড়ি। কেউ কারো কথা শুনছে না।

১২ এপ্রিলে জারি করা কঠোর লকডাউনের ১৩ দফা সুপারিশে বলা হয়, সব সরকারি-আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। এ আদেশ শতভাগ কার্যকর। তবে সব কর্মকর্তা-কর্মচারী নিজ-নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবেন- এমন শর্ত কার্যকর হচ্ছে না বললেই চলে। কারণ অনেকেই রাজধানীর কর্মস্থল ছেড়ে বিভিন্ন জেলায় অবস্থিত গ্রামের বাড়ি চলে যাচ্ছেন পরিবার পরিজন নিয়ে।

আন্তঃজেলা বাস চলাচল বন্ধ রাখার শর্তে ৫ মে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আন্তঃজেলা বাস সার্ভিস বন্ধ থাকলেও পণ্য পরিবহন, উৎপাদন ব্যবস্থা ও জরুরি সেবা এ আদেশের বাইরে থাকবে। তবে এই শর্ত কতটুকু বাস্তবায়ন হয়েছে তার প্রমাণ দেখা যায় ঘাটগুলোতে। একটি ফেরিতে হাজার হাজার যাত্রী উঠে নদী পার হচ্ছে। কেউ বুঝবে না বিশ্বে এখন মহামারি চলছে।

বিকেলেও শিমুলিয়া ঘাটে দেখা যায়, আজ দুর্ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরও যাত্রীরা নির্ভয়ে ঝুঁকি নিয়েই ফেরিতে নদী পার হচ্ছে। ফেরি ছেড়ে যাচ্ছে তবুও ঝুঁকি নিয়ে সেগুলোতে লাফিয়ে লাফিয়ে ওঠছে। স্বাস্থ্যবিধিও কেউ মানছেন না। যেকোনো মুহূর্তে আরও বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

যাত্রীরা বলছেন, পরিবারের সবার সঙ্গে ঈদ না করতে পারাতো কষ্টের। ফেরি চলছে বলে বাড়ি যাচ্ছি। সবাই যাচ্ছে তাই আমিও যাচ্ছি।

পুলিশ জানায়, যাত্রীদের অনেক বোঝানো হচ্ছে তবুও তারা শুনছেন না। তাদের থামানো যাচ্ছে না।

বিআইডাব্লিউটিসির শিমুলিয়া ফেরিঘাটের উপমহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, যাত্রীদের সব ভাবে বোঝানো হয়েছে। তারা কোন কথাই শুনছেন না। কোনোভাবেই জনস্রোত ঠেকানো যাচ্ছে না। যে যেভাবে পারে ফেরিতে ওঠছে। তাদের সামলাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও হিমশিম খেতে হচ্ছে।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
‘ঈদযাত্রায় ট্রেন ও বগির সংখ্যা বাড়ানো হবে’ 
X
Fresh