ঈদের শেষ সময়ে কেনাকাটায় বাজারে ভিড়
দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদ। কাল বা পরশু মুসিলম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদুল ফিতর। কেনাকাটার জন্য মানুষের হাতে সময় একেবারেই কম। যার ফলে প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে বাজারে ভিড় করছেন ক্রেতারা। জমে উঠেছে ঈদ বাজার, ব্যস্ততা বেড়েছে বিক্রেতাদের।
বুধবার (১২ মে) বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কারওয়ান বাজারে ক্রেতাদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে আজও ছিল উদাসীনতা।
ঈদের দিন প্রত্যেকের ঘরেই বাড়তি রান্নার আয়োজন থাকে। যার ফলে সেমাই, চিনি, আতপ চাল, তেল, ঘি এসব জিনিসের প্রয়োজন হয় বেশি, সেসব কিনতেই বাজারে আসছে মানুষ। সকাল থেকে ভিড় বাড়লেও এবার বেচা-বিক্রি গত বারের তুলনায় অনেক কম বলছেন দোকানীরা।
গত বছর ঈদে কঠোর লকডাউনের কারণে গ্রামে যেতে না পারার কারণে মানুষকে রাজধানীতে ঘরবন্দী ঈদ করতে হয়েছে। যার ফলে ঢাকায় মানুষ বেশি থাকায় ঈদের প্রয়োজনীয় বাজার করতে হয়েছে রাজধানীতেই। ভোজ্যপণ্যের বিক্রেতারা লাভের মুখ দেখেছেন। এবছর শেষ পর্যন্ত কতটুকু বিক্রি করতে পারবেন তা নিয়ে শঙ্কা তাদের। ঢাকায় মানুষ কম থাকায় তার প্রভাব পরেছে বাজারেও।
এদিকে বাজারে মানুষের উপস্থিতি বাড়ায় সামাজিক দূরত্ব মানা সম্ভব হচ্ছে না মানুষের। স্বাস্থ্যবিধিরও তোয়াক্কা করছেন না অনেকেই। মাস্ক পরতে দেখা যায়নি অনেককেই। জানতে চাইলে দেখাচ্ছেন নানান রকম অজুহাত।
মনিহারী দোকানী মমিন বলেন, রোজার শুরু থেকেই এবার বেচাকেনা কম ছিল। গত বছরের তুলনায় অর্ধেক বিক্রিও হয়নি এবার। তবে আজ সকাল থেকে অন্যান্য দিনের তুলনায় লোক সমাগম বাড়ছে। বিক্রিও কিছুটা বেশি। তবে গত বছরের মত নয়। গতবার তো সব মানুষ ঢাকায় ছিল, এবার বেশির ভাগই গ্রামে গেছে। তাই এই অবস্থা।
ঈদের বাজার করতে আসা শাহজাহান নামে এক ব্যক্তি বলেন বলেন, গাড়ি ঠিক মত চলে না বলে এবার গ্রামে যাইনি। ঢাকায় ঈদ করবো। তাই সেমাই, চিনি, মসলা এসব কিনতে বাজারে আসছি।
এসকে/এসএস
মন্তব্য করুন