• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টে দেশে তৃতীয় ওয়েভের শঙ্কা বিশেষজ্ঞদের

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ০৪ মে ২০২১, ১২:০৮
ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টে দেশে তৃতীয় ওয়েভের শঙ্কা বিশেষজ্ঞদের
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিম্যাল সায়েসেন্স বিশ্ববিদ্যালয় (ফাইল ছবি)

করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টে দেশে তৃতীয় ওয়েভের আশঙ্কা করছেন চট্টগ্রামের ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিম্যাল সায়েসেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের বিস্তার ঘটেছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও যুক্তরাজ্যের ভ্যারিয়েন্টের মাধ্যমে। গবেষণায় দেখা গেছে, এই সংক্রমণের জন্য ৬০ ভাগ যুক্তরাজ্যের আর ৩০ ভাগ দক্ষিণ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট দায়ী। তবে দেশে এখনও ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়নি। তাই ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট প্রবেশ করলে দেশে তৃতীয় ওয়েভের কারণ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

চট্টগ্রামের ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিম্যাল সায়েসেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা করোনার নতুন ১০টি জীবন রহস্য উন্মোচনের মাধ্যমে এসব তথ্য জানান। গত এক মাসে করোনার নতুন আরও ১০টি জীবন রহস্য উন্মোচন করেছেন তারা। এর মধ্যে ছয়টি যুক্তরাজ্যের, তিনটি দক্ষিণ আফ্রিকান ও বাকি একটি অস্ট্রেলিয়ান ভেরিয়েন্ট।

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতমবুদ্ধ দাশ বলেন, ‘আমরা খুব ভয়ে আছি। এখন ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টটা যদি আমাদের দেশে আসে তাহলে আমাদের কিন্তু চরম ক্ষতি হবে। তৃতীয় ওয়েভ আরম্ভ হতে পারে। আমাদের এখন তৃতীয় ওয়েভ প্রতিরোধে ভারতীয় ভেরিয়েন্টকে ঠেকানোই মূল চ্যালঞ্জে হিসাবে নিতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়টির গবেষকদের মতে, মার্চ মাস থেকেই বাংলাদেশে করোনার সেকেন্ড ওয়েভ হানা দেয়। আক্রান্তের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মৃত্যুর হার। তবে করোনার সেকেন্ড ওয়েভে এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামের কোথাও ভারতীয় ভেরিয়েন্ট শনাক্ত হয়নি।

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা দলের প্রধান প্রফেসর ড. শারমিন চৌধুরী বলেন, যদি কোয়ারেন্টিন ঠিকমতো মেইনটেইন করতে না পারি, তাহলে কিন্তু ভারতের ভ্যারিয়েন্টটা তৃতীয় ওয়েভ তৈরি করতে পারে।

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতমবুদ্ধ দাশের সার্বিক নির্দেশনায় সিভাসুর অধ্যাপক ড. পরিতোষ কুমার বিশ্বাস, অধ্যাপক ড. শারমিন চৌধুরী, ডা. ইফতেখার আহমেদ রানা, ডা. ত্রিদীপ দাশ, ডা. প্রাণেশ দত্ত, ডা. মো. সিরাজুল ইসলাম ও ডা. তানভীর আহমদ নিজামী এই গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh