বিধিনিষেধে যে নতুন শর্ত

করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ রুখতে চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়িয়ে বুধবার (২৮ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। ২৮ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে ৫ মে মধ্যরাত পর্যন্ত এ বিধিনিষেধ কার্যকর থাকবে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান ও শপিংমল সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এছাড়া আগের নির্দেশনা অনুযায়ী, জরুরি সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান ছাড়া যথারীতি সরকারি-বেসরকারি অফিস, গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। খোলা থাকবে শিল্প-কারখানা।

• আরও পড়ুন : ৫ মে পর্যন্ত বিধিনিষেধ বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন জারি

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, নতুন ছয় নির্দেশনা হলো-

১. স্থল, নৌ ও বিমানযোগে যেকোনো ব্যক্তি ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের (পণ্য পরিবহন ছাড়া) ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তবে শুধু ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণ বাংলাদেশিরা ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাই কমিশনের অনুমতি বা অনাপত্তি ছাড়পত্র নেওয়া সাপেক্ষে বিশেষ বিবেচনায় বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রবেশকারীদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন সংক্রান্ত বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রণীত বিধি-নিষেধ কঠোরভাবে অনুসরণের জন্য স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, সুরক্ষা সেবা বিভাগ, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

২. দোকানপাট ও শপিংমল সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন সাপেক্ষে খোলা রাখা যাবে। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, শ্রম মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট বাণিজ্য সংগঠনসহ সংশ্লিষ্ট বাজার/সংস্থার ব্যবস্থাপনা কমিটি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

৩. আসন্ন ঈদুল ফিতরের নামাজের বিষয়ে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।

৪. মধ্যপ্রাচ্য, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও চীন থেকে আসা যাত্রীদের ভ্যাকসিন গ্রহণের সনদসহ নন-কোভিড-১৯ সনদধারী যাত্রীরা নিজ বাড়িতে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকবেন। সেক্ষেত্রে তাদেরকে সংশ্লিষ্ট থানাকে আগমন ও কোয়ারেন্টিনের বিষয়টি অবহিত করতে হবে।

• আরও পড়ুন : কোথায় সায়েম সোবহান আনভীর?

৫. উল্লিখিত দেশ থেকে আসা শুধু নন-কোভিড ১৯ সনদধারীরা সরকার নির্ধারিত কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থায় থাকবেন। ৩ থেকে ৫ দিনের মধ্যে চিকিৎসকরা তাদের পরীক্ষা করে সম্মতি দিলে তারা নিজ নিজ বাড়িতে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকবেন। তবে সেক্ষেত্রে তাদের নিজ নিজ থানাকে জানাতে হবে।

৬. অন্যান্য দেশ থেকে আসা যাত্রীরা সরকার নির্ধারিত হোটেলে নিজ ব্যয়ে ১৪ দিন থাকবেন।

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় গেল ১৪ এপ্রিল থেকে ৭ দিনের জন্য লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। সংক্রমণ না কমায় ২০ এপ্রিল আরেকটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানো হয়। তবে পরিস্থিতির উন্নতি সেভাবে না হওয়ায় ফের আজ বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানো হলো।

এসএস