• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সর্বাত্মক লকডাউন: প্রজ্ঞাপন জারি

আরটিভি নিউজ

  ১২ এপ্রিল ২০২১, ১২:১২
Restrictions on movement from 14 to 21 April: Notification issued
১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত চলাচলে বিধিনিষেধ

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে আগামী ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করে সর্বাত্মক লকডাউনের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। প্রজ্ঞাপনে সকল সরকারি ও বেসরকারি অফিস বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে। তবে গার্মেন্টস ও শিল্পকারখানা খোলা থাকবে।

আরও পড়ুনঃ মায়ের সঙ্গে দেখা করানোর কথা বলে ধর্ষণ করল প্রেমিক

আজ সোমবার (১২ এপ্রিল) সকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জরুরি সেবার কিংবা পণ্যবাহী যানবাহন ছাড়া আর কোনও যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল ৯টা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত খোলা জায়গায় কাঁচাবাজার বসতে পারবে।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অবনতির কারণে বর্ণিত স্মারক অনুযায়ী ১৪ এপ্রিল ২০২১ ভোর ৬টা থেকে ২১ এপ্রিল ২০২১ মধ্যরাত পর্যন্ত নিম্নরূপ বিধি-নিষেধ আরোপ করা হলো।

বিধি-নিষেধগুলো হচ্ছে

  • সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস/আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। সব কর্মকর্তা-কর্মচারী নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবেন। তবে বিমান, সমুদ্র, নৌ ও স্থলবন্দর এবং তৎসংশ্লিষ্ট অফিসসমূহ এ নিষেধাজ্ঞার আওয়তার বাইরে থাকবে। সুপ্রিম কোর্ট আদালতসমূহের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে।
  • সব পরিবহন (সড়ক, নৌ, রেল, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট) বন্ধ থাকবে। তবে পণ্য পরিবহন, উৎপাদন ব্যবস্থা ও জরুরি সেবাদানের ক্ষেত্রে এই আদেশ প্রযোজ্য হবে না।
  • শিল্প-কারখানাসমূহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু থাকবে। তবে, শ্রমিকদের স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান থেকে নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাপনায় আনা-নেওয়া নিশ্চিত করতে হবে।
  • আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন কৃষি উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্য শস্য, খাদ্যদ্রব্য, পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্য সেবা, কোভিড-নাইন্টিন টিকা প্রদান, বিদ্যুৎ পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরসমূহের (স্থলবন্দর, নদী বন্দর, সমুদ্রবন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাক সেবাসহ, অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহ, তাদের করচারই ও যানবাহন এ নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকবে।
  • অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া (ওষুধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়, চিকিৎসা সেবা, মৃতদেহ দাফন/সৎকার ইত্যাদি) কোনও ভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। তবে টিকা কার্ড দেখিয়ে টিকা গ্রহণের জন্য যাতায়াত করা যাবে।
  • খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁয় দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা সাতটা ও রাত ১২টা থেকে ভোর ছয়টা শুরু খাবার বিক্রি/সরবরাহ (টেকঅ্যাওয়ে/ অনলাইন) করা যাবে। শপিংমলসহ অন্যান্য সব দোকান বন্ধ থাকবে।
  • কাঁচাবাজার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সকাল ৯টা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে। বাজার কর্তৃপক্ষ/স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি নিশ্চিত করবে।
  • বোরো ধান কাটার জরুরি প্রয়োজনে কৃষি শ্রমিক পরিবহনের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসন সমন্বয় করবে।
  • সারাদেশে জেলা ও মাঠ প্রশাসন উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়মিত টহল জোরদার করবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তার পক্ষে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজনীয় ক্ষমতা প্রদান করবেন। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে জুম্মা ও তারাবী নামাজের জমায়েত বিষয়ে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় নির্দেশনা জারি করবে।

উপর্যুক্ত নির্দেশনাসমূহ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ প্রয়োজনে সম্পূরক নির্দেশনা জারি করতে পারবে।

পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
নববর্ষ উদযাপনে মানতে হবে যেসব বিধিনিষেধ
ঈদে বাল্কহেড-স্পিডবোট চলাচল নিয়ে যে সিদ্ধান্ত হলো
আজ থেকে মেট্রোরেল চলাচলের সময় বাড়ছে
৭ ঘণ্টা পর ঢাকা-খুলনা রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
X
Fresh