• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

পানি ছাড়তে হবে, আটকে রাখতে পারবে না: শেখ হাসিনা

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১১ এপ্রিল ২০১৭, ১৭:৪৩

তিস্তা চুক্তির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পানি দাও, পানি দাও করে চিৎকার করলে হবে না। পানি আসবেই, এটি নিয়ে চিন্তা বা বিতর্কের কিছু নেই। আমরা আছি ভাটিতে। আমাদের কাছে পানি আসবেই। কেউ আটকে রাখতে পারবে না। আর বৃষ্টি বেশি হলে তো পানি ছাড়তেই হবে। তখন সেটা আমাদের ধরে রাখতে হবে।

মঙ্গলবার বিকেলে গণভবনে ভারত সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীও তিস্তা চুক্তির বিষয়ে সরাসরি না করেননি। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও বলেছেন- আমি ও তিনি ক্ষমতায় থাকতেই এ চুক্তি বাস্তবায়ন হবে। যখনই হোক তাদের পানি ছাড়তে হবে। এটা ধরে রাখার কিছু নেই।

মমতার বিকল্প প্রস্তাব নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমিও তাকে বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছি। তোর্সা ও জলঢাকা নদী থেকে আমাদের পানি না দিয়ে তারাই বরং তা তিস্তায় নিয়ে যাক। তারপর সেখান থেকে আমাদের পানি দেয়া হোক।

আর তিস্তা চুক্তি হবে। এটা নিয়ে এখনই হতাশার কিছু নেই। প্রশ্ন রেখে শেখ হাসিনা বলেন, তিস্তায় (গজল ডোবায়) যখন বাঁধ করলো, আমাদের যে সরকার ক্ষমতায় ছিল, তারা প্রতিবাদ তো দূরের কথা ‘টু’ শব্দও করলো না কেন। উল্টো আমরা একটা ব্যারেজ করলাম। তখনকার সরকারকে বলতে শুনেছিলাম, ভারতকে শিক্ষা দেবেন!

বাংলাদেশের পনিসম্পদ মন্ত্রণালয় সমীক্ষা করে রাজবাড়ীর পাংশায় গঙ্গা ব্যারাজের যে নকশা তৈরি করেছে, তা বাস্তবায়ন করা ‘আত্মঘাতী’ হবে। এর বদলে উজানে ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে ‘রিজার্ভার’ তৈরি করে শুষ্ক মৌসুমে ব্যবহারের জন্য পানি সংরক্ষণের ওপর জোর দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি আরো বলেন, ভারত সফর থেকে আমি তো খালি হাতে ফিরে আসিনি। পানি চেয়েছি আমাকে বিদ্যুৎ দিয়েছে। এখন আমরা ভারত থেকে বিদ্যুৎ কিনতে পারব। কারণ আমাদের এটি অনেক বেশি দরকার।

ধন্যবাদ বিএনপি নেত্রীকে : শেখ হাসিনা

ভারতের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে লুকোচুরির কিছু নেই

এইচটি/ সি

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
যত টাকা চুক্তিতে সালমানের বাড়িতে হামলা করে দুর্বৃত্তরা
ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তি সইয়ের সম্ভাবনা
ভুটানের সঙ্গে জলবিদ্যুৎ আমদানি চুক্তি শিগগিরই : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পিসিবির কাছে ক্ষমা চাইলেন হারিস রউফ
X
Fresh