আগুন নিয়ে খেলছে হেফাজত: প্রধানমন্ত্রী
আগুন নিয়ে খেলছেন, এক ঘরে আগুন লাগলে সেই আগুন অন্য ঘরেও চলে যেতে পারে। সেটা কি আপনাদের হিসেবে নেই। হেফাজতে ইসলামের নেতাদের উদ্দেশে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (০৪ এপ্রিল) দুপুরে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে একাদশ জাতীয় সংসদের দ্বাদশ অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে এ কথা বলেন।
-
আরও পড়ুন... যা যা নিষেধ থাকছে লকডাউনে
প্রধানমন্ত্রী হেফাজতে ইসলামকে হুঁশিয়ার করে জাতীয় সংসদে বলেন, যে কোনো কিছু হলেই ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ বা আমাদের অফিস, বাসায় আগুন দেয়া হয়। আমি তাদের জিজ্ঞাসা করি। আগুন নিয়ে খেলছে তারা। এক ঘরে আগুন লাগলে সেই আগুন তো অন্য ঘরেও চলে যেতে পারে। সেটা কি তাদের হিসাবে নেই?’
‘আজকে রেল স্টেশন থেকে শুরু করে ভূমি অফিস থেকে শুরু করে, ডিসি অফিস থেকে সব জায়গায় যে আগুন দিয়ে বেড়াচ্ছে, তাদের মাদ্রাসা, বাড়িঘর সেগুলোতেও যদি আগুন লাগে তখন তারা কী করবে? জনগণ কি বসে বসে শুধু এসব সহ্য করবে তারা তো সহ্য করবে না বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
-
আরও পড়ুন... যা যা নিষেধ থাকছে লকডাউনে
শেখ হাসিনা বলেন, ২৬ মার্চ হেফাজত গুজব ছড়ালো, বায়তুল মোকাররমে মানুষ মেরে ফেলা হচ্ছে ইত্যাদি। ২৬ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সহিংসতা চালানো হয়। হেফাজতের পক্ষে বিএনপির বিবৃতি দেশব্যাপী ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিক অংশ।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট কীভাবে সমর্থন দেয় সেটাই আমার প্রশ্ন। এখানে যে জ্বালাও পোড়াও করবে -সেটাও তারা পরামর্শ দিয়েছে।’
-
আরও পড়ুন... লকডাউনে ব্যাংকের লেনদেনের সময় কমলো
হেফাজতের প্রতি প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, হেফাজতে ইসলাম কর্মসূচি দেয়, তারা কি দেওবন্দে যায় না? শিক্ষা গ্রহণ করতে। তারা যদি এ সমস্ত ঘটনা ঘটায় তবে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে দেওবন্দে যাবে কিভাবে সেটা কি তারা একবারও চিন্তা করেছে। আমরা তো কওমি মাদরাসায় সনদ দিচ্ছি।
‘আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী আমরা সুন্দরভাবে উদযাপন করতে চেয়েছি। যারা এটা করেছে—দেশবাসী এটা দেখবে, বিচার করবে,’ বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এমআই
মন্তব্য করুন