• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo

নীরবে বাড়ছে সব ধরনের মাংসের দাম

আরটিভি নিউজ

  ১৯ মার্চ ২০২১, ২৩:০৮
নীরবে বাড়ছে সব ধরনের মাংসের দাম
ফাইল ছবি

করোনাভাইরাস মহামারিতে যেমন মানুষের আয় কমেছে তেমন রমজানকে সামনে রেখে বাড়ছে ভোগ্যপণ্যের দাম। কয়েক মাস ধরেই চালের দাম বেড়েছে চোখে পড়ার মতো, সঙ্গে নীরবে বাড়ছে সব ধরনের মাংসের দাম। পণ্যের লাগামহীন দরবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে কোনও নজরদারি নেই সরকারের। এতে সংসারে আয়-ব্যয়ের হিসাব মিলাতে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খুচরা বাজারে প্রতি কেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা পর্যন্ত। মোটা চালও ৫০ টাকার উপরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কয়েক সপ্তাহ ধরেই মুরগির দামের সঙ্গে বেড়েছে গরু ও খাসির মাংসের দাম।

গত সপ্তাহের মতো ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৫৫ টাকা থেকে ১৬০ টাকা এবং লাল লেয়ার মুরগির কেজি ১৮০ টাকা থেকে ২০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। তবে সোনালী বা কক মুরগি ৩২০ টাকা থেকে ৩৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে প্রতি কেজি খাসির মাংস ৭৫০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা, গরুর মাংস ৫৮০ টাকা থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারে ফয়সাল মিয়া বাজার করতে এসে বলেন, বাজারে যে হারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে, এতে আমাদের মতো নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষের জন্য সংসার চালানো কষ্ট কর হয়ে পড়ছে।

রাজধানীর মহাখালীতে দিনমজুরের কাজ করেন আব্দুর রহিম। তিনি দৈনিক ৪শ’ থেকে ৫শ’ কাজ করে আয় করেন। তার পরিবারে দুই ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে পাঁচ সদস্য। দৈনিক যা আয় করেন তা দিয়ে সংসার চালানো কষ্ট কর হয়ে পড়ছে। আয় কম হওয়ায় এক মাস অন্তর একবারও মাংসের দোকানের ধারের কাছে যেতে পারেন না তিনি। মহাখালী কাঁচাবাজারে বাজার করতে এসে আব্দুর রহিম এই প্রতিবেদকে বলেন, দিনে দিনে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে সেখানে মাংস কিনবো কিভাবে সবজি কেনার মতোর মতো অবস্থাও নেই।

গত সপ্তাহের তুলনায় কিছু সবজির দাম কেজিতে পাঁচ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আর কিছু সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। গত সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে করলা, বরবটি, টমেটো, চিচিঙ্গা, বাঁধাকপি, বেগুন, শিম, আলুর দাম। প্রতি কেজি করলা কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৬০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, টমেটো ২৫ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, বাঁধাকপি প্রতি পিস ২০ থেকে ৩০ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৩০ টাকা, লতি ৭০ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, শিম ৬০ টাকা, আলু ২০ টাকা কেজি। আর কাঁচকলার হালি ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে কেজি ৭০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৭০ টাকা, খিরাই ৪০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, মটরশুঁটি ৫০ টাকা আর লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৫০ টাকায়।

কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশি পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪৫ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গত দুই তিন আগেও দেশি পেঁয়াজ ৫০ টাকার ওপরে কেজি বিক্রি হয়েছে। আর আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ ছিল ৪৫ টাকা। অন্যদিকে রসুনের দাম কিছুটা কমেছে বলে জানিয়েছেন দোকানীরা। প্রতি কেজি আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ১৪০ টাকা।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে ভোক্তারা বলছেন, দাম বৃদ্ধির পেছনে অসাধু ব্যবসায়ী ও সরকারের যোগসাজশ রয়েছে।

শেফা/এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বিয়ে বাড়ির খাসির মাংস খেয়ে ১৬ জন হাসপাতালে
‘মানুষ এখন ডাল-ভাত নয়, মাছ-মাংস নিয়ে চিন্তা করে’
ঈদে স্ত্রীকে মাংস কিনে খাওয়াতে না পারায় চিঠি লিখে আত্মহত্যা
স্ত্রীকে মাংস কিনে দিতে না পারায় যুবকের আত্মহত্যা
X
Fresh