• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

প্রতিবন্ধী শিশুকে শিক্ষার বাইরে রাখা যাবে না

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ০২ এপ্রিল ২০১৭, ১৪:৪৪

কোনো প্রতিবন্ধী শিশুকে শিক্ষা কার্যক্রমের বাইরে রাখা যাবে না। অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশুদের সাধারণ বিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুযোগ করে দিতে হবে। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘১০ম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস ২০১৭’ উপলক্ষে অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এর আয়োজন করে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়।

প্রতিবন্ধী শিশুদের সাধারণ বিদ্যালয়ে ভর্তি না করার মন-মানসিকতা ত্যাগ করতে কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন সব শিশুকে শিক্ষা দিতে হবে। এজন্য তাদের বাড়ির নিকটবর্তী বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে দরকারি পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে সাধারণ শিশুরা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের সঙ্গে মিশে মানুষের ভিন্নতা সম্পর্কে জানতে পারবে। সেইসঙ্গে ভিন্নতাকে মেনে নেয়ার শিক্ষা পাবে।

শিক্ষাকে তার সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০১০ সালে বাস্তবমুখী শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছি। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘প্রতিবন্ধিতার কারণে কোনো শিশুকে শিক্ষা কার্যক্রম থেকে দূরে রাখা যাবে না।’

শেখ হাসিনা বলেন, এতে করে শিশুরা ছোটবেলা থেকেই সহনশীলতা ও সামাজিক দায়িত্ববোধের শিক্ষা লাভ করবে। তাতে গোটা সমাজ ব্যবস্থাই উপকৃত হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিরাও বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার করে কম্পিউটার, ইন্টারনেটে অন্য সবার মতোই সমান পারদর্শিতার সঙ্গে কাজ করতে সক্ষম। প্রতিবন্ধীবান্ধব সফটওয়্যার, অডিও-ভিডিও শিক্ষা উপকরণ, অবকাঠামো, প্রযুক্তি উদ্ভাবনসহ তথ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করতে সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানকে অনুরোধ জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. মো. মোজাম্মেল হোসেন। স্বাগত বক্তব্য দেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. জিল্লার রহমান।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, জাতীয় সংসদ সদস্য, সরকারের সামরিক ও বেসামরিক পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত এবং কূটনৈতিক মিশনের সদস্য, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধি এবং অটিজম আক্রান্ত শিশু-কিশোর, অভিভাবক ও শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে অটিজম অতিক্রমে সফল ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান এবং সংস্থাকে বিশেষ সম্মাননা দেন। প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে নীলবাতি প্রজ্জ্বলন করেন।

২০০৭ সালের ১৮ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ২ এপ্রিল দিবসটি বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত হয়। ২০০৮ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হচ্ছে। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে-‘স্বকীয়তা ও আত্মপ্রত্যয়ের পথে।’

অটিজমসহ সব ধরনের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে এবং পরিবার ও সমাজে তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করতে কর্মসংস্থানের বিকল্প নেই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কাজের প্রতি এসব বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের একাগ্রতা থাকে অনেক বেশি এবং কর্মক্ষেত্রে তাদের উপস্থিতিও অন্যদের তুলনায় সন্তোষজনক।

তিনি বলেন, অটিজম একটি স্বাভাবিক অবস্থা। এটি শিশুর শৈশব থেকেই দেখা দিতে পারে।

শেখ হাসিনা জানান, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে তাদের উপযোগী কর্মক্ষেত্র চিহ্নিত করার কাজ চলছে। এ ছাড়া বিসিএসসহ সব শ্রেণির সরকারি চাকরিতে অটিজমসহ সব প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য কোটা সংরক্ষিত রয়েছে। অটিজমসহ সব ধরনের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়োগের জন্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও উদ্যোক্তাদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

এইচএম

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh