• ঢাকা বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

একুশের চেতনায় দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান টিআইবির

আরটিভি নিউজ

  ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ২২:০৪
TIB calls for building a corruption-free Bangladesh in the spirit of Ekushey
টিআইবি

একুশের চেতনাকে ধারণ করে দুর্নীতিমুক্ত সুশাসিত স্বদেশ গড়ার আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে একথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের গৌরবোজ্জ্বল ভাষা আন্দোলনের একুশ যেমন আবেগের, তেমনি সংগ্রাম ও দ্রোহের। একুশের পথ বেয়েই বাঙালি বারবার অন্যায়, অবিচার আর শোষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে, ছিনিয়ে এনেছে স্বাধীনতার সূর্যকে। হার না মানা দৃঢ়তায় অশুভকে রুখে দেয়ার প্রেরণা আমরা একুশ থেকেই পাই। যেকোনো অন্যায়, নিপীড়ন ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে এবং ন্যায়ের পক্ষে সমন্বিত প্রতিবাদের প্রেরণা হোক একুশে ফেব্রুয়ারি। একইসঙ্গে একুশ হোক দুর্নীতি প্রতিরোধে অনন্য প্রেরণার উৎস। কারণ দুর্নীতি একুশের চেতনার পরিপন্থী। তাই এই একুশের চেতনা ধারণ করেই দুর্নীতিকে রুখতে হবে, সকল প্রকার বৈষম্য থেকে মুক্তি লাভের সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।’

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘একুশের যে চেতনার চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিল, দুর্নীতির জগদ্দল পাথর সেই অর্জন ভূলুণ্ঠিত করছে। বৈষম্যহীন, শোষণহীন, ভয়মুক্ত সমাজ বিনির্মাণের যে শপথ মহান একুশের প্রধান চেতনা, সর্বগ্রাসী দুর্নীতির ব্যাপক বিস্তার আমাদের সেই শপথ বিনষ্ট করছে। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতার যে প্রত্যয় ঘোষিত হয়েছে, ছোটখাট দুর্নীতি ও কিছু চুনোপুঁটি টানাহেঁচড়ার বাইরে বড় দুর্নীতি ও রাঘব বোয়ালদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নেয়ায় সেই প্রত্যয়ও কেবল কাগুজে ঘোষণাই রয়ে গেছে। দুর্নীতির ধারণা সূচকে দীর্ঘ এক দশক বাংলাদেশের প্রায় একই অবস্থানে আটকে থাকা এবং দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে আমাদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন অবস্থান সেটিই যেন প্রমাণ করে। তাই ঘোষিত প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি দুর্নীতির বিরুদ্ধে সর্বব্যাপী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণই একুশের চেতনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে।’

ড. জামান আরও বলেন, ‘এটা খুবই উদ্বেগের বিষয় যে সরকার ও প্রশাসনযন্ত্রে একরকম ‘অস্বীকারের সংস্কৃতি’বা ‘ডিনায়াল সিনড্রোম’জেঁকে বসেছে। যেকোনো ধরনের দুর্নীতি, অনিয়ম আর অভিযোগ উঠলেই সেটিকে একেবারে বাতিল বা অস্বীকার কিংবা ঢালাওভাবে ষড়যন্ত্রের বাতাবরণ দেয়ার চেষ্টা দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় প্রতিশ্রুতিসমূহকে প্রতিনিয়ত প্রশ্নের মুখে ফেলছে। আর দুর্নীতিসহায়ক পরিবেশ তৈরিতে ভূমিকা রাখছে। এহেন অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে প্রশ্নবিদ্ধ যেকোনো বিষয়ে আইন ও বিধি বিধান মেনে সরকার সত্য প্রকাশের সৎসাহস দেখাবে এটাই প্রত্যাশা, যা সামগ্রিকভাবে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিতর্ক এড়িয়ে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করবে, অর্থবহ করবে গণতন্ত্রকে।’

তিনি বলেন, ‘অবিলম্বে দল-মত-পক্ষ নির্বিশেষে কিংবা ভয় ও অনুকম্পার বশবর্তী হয়ে কাউকে বিশেষ সুবিধা প্রদানের মতো অনৈতিক চেতনার ঊর্ধ্বে উঠে, একুশের চেতনা ধারণ করে দুর্নীতির বিরুদ্ধে বাস্তবিক অর্থেই কঠোর অবস্থান নিতে হবে। অন্যথায় যে চেতনার ভিত্তিতে আমাদের মহান ভাষা শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধারা অকাতরে জীবন দান করে গেছেন তা অনর্থক হয়ে যাবে।’
পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
২০৪১ সালের মধ্যে ধূমপানমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান
সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতির নজির, বেনজির ও দায়মুক্তি
সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদ বিবরণী নিয়ে টিআইবির উদ্বেগ
অভিজ্ঞতা ছাড়াই টিআইবিতে চাকরি
X
Fresh