‘কারাগারে নারী সাক্ষাতের ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে’
গাজীপুরের কাশিমপুর-১ কারাগারে হলমার্কের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) তুষার আহমদের নারীর সঙ্গে সাক্ষাতের ঘটনাটি জঘন্য অপরাধমূলক কাজ। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
আজ শনিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগামীকাল সোমবার এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে। তবে এতটুকু বলতে পারি যে, এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে যারা জড়িত তাদের প্রত্যাহার করা হয়েছে। তদন্ত করা হচ্ছে। প্রয়োজনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কারাগারে হলমার্কের জিএম’র নারীর সঙ্গে সাক্ষাতের এ ঘটনায় ইতোমধ্যে অতিরিক্ত আইজি প্রিজনস আবরার হোসেনকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সঙ্গে একজন ডেপুটি জেলারসহ ৩ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তাদের রোববার রাতেই প্রত্যাহার করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি তদন্ত কাজ চলমান রয়েছে।
- আরো পড়ুন...
- যেভাবে কারাগারে নারীর সঙ্গ পেতেন হলমার্কের জিএম!
- কারাবন্দীর সঙ্গী হওয়া সেই নারীর পরিচয় মিলেছে
প্রকাশ হওয়া কারাগারের সিসি ফুটেজে দেখা গেছে, গত ৬ জানুয়ারি কালো রঙের জামা পরে কারাগারে প্রবেশ পথে কর্মকর্তাদের কার্যালয় সংলগ্ন এলাকায় স্বাচ্ছন্দ্যে ঘোরাফেরা করছেন ঋণ কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত হলমার্কের জিএম তুষার আহমদ। সে আসার কিছু সময় পরই বাইরে থেকে বেগুনি রঙের সালোয়ার কামিজ পরা এক নারী আসেন। এ সময় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার রত্না রায় ও ডেপুটি জেলার সাকলাইন উপস্থিত ছিলেন ওই স্থানে। এ দু’জনের সহযোগিতার বিষয়টিও ফুটে উঠে ক্যামেরায়। দুপুর ১২টা বেজে ৫৫ মিনিটে কারাগারের দুই যুবকের সঙ্গে ওই নারী কর্মকর্তাদের কক্ষে যায়। ডেপুটি জেলার সাকলাইন তাকে অভ্যর্থনা জানান সেখানে।
ওই নারী কক্ষে প্রবেশের পর ডেপুটি জেলার সাকলাইন বেরিয়ে যান অফিস থেকে। প্রায় ১০ মিনিট পর বন্দি তুষারকে আনা হয় সেখানে। এরপর একটি কক্ষে ৪৫ মিনিট অবস্থান করেন তারা। ওই কক্ষের ভেতরে দু’জনের মধ্যে কি হয়েছে তা নিয়ে তদন্ত চলছে এখন।
এসআর/এসএস
মন্তব্য করুন