• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

নারী নিয়ে বেপরোয়া ছিল দিহান ও তার ভাই

আরটিভি নিউজ

  ১০ জানুয়ারি ২০২১, ১৬:৪৫
Dihan and his brother were desperate for women
ফারদিন ইফতেখার দিহান

মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের ছাত্রী আনুশকা নূর আমিন ‘ধর্ষণ’ ও হত্যায় জড়িত ফারদিন ইফতেখার দিহান বেপরোয়া জীবন যাপন করতো বলে জানা গেছে। কেবল তাই নয় তার বড় ভাই সুপ্তও বেপরোয়ার জীবন যাপন করতো। বিশেষ করে নারী সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের আচরণ ছিল বেপরোয়া। তাদের সাবেক জেলা রেজিস্ট্রার বাবার টাকার দাপটেই তারা শৃঙ্খলার সীমা ছাড়িয়ে যায় অনেক আগেই।

আরও পড়ুন...
দুইমাস আগে থেকেই আনুশকা-দিহানের সম্পর্ক

বাসা ফাঁকা থাকলেই বান্ধবীদের এনে উল্লাস করতো দিহান

রাজধানীর কলাবাগানে ‘ও’ লেভেল পড়ুয়া শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত তানভীর ইফতেখার দিহানের অপরাধের ঘটনা নতুন নয়। দিহানের ভাই সুপ্তর বিরুদ্ধেও রয়েছে স্ত্রী হত্যার অভিযোগ। এলাকাবাসী বলছেন, বাবা আব্দুর রউফ সরকারের টাকার দাপটে এগুলো করার সাহস পায় দুই ভাই। এক্ষেত্রে মা সানজিদা সরকারও আশকারা দিতেন বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।

লিজা খাতুন নামে এক নারী নেত্রী বলনে, ‘সুপ্ত এবং দিহানের বাবা তো টাকাওয়ালা ও প্রভাবশালী এবং এদের ফ্যামিলি ক্যারেক্টারটাই এ রকম টাইপের। মা-ও ভীষণ দুর্ধর্ষ। ওদের ফ্যামিলিটা এ রকমই। ওরা টাকার জোরে এ রকম করে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’

অভিযুক্ত দিহান ও সুপ্ত বাবার প্রশ্রয়ে অপরাধ করার সীমা ছাড়িয়েছে বলে জানায় তাদের গ্রামের লোকজন।

অবসরপ্রাপ্ত জেলা রেজিস্ট্রার আবদুর রউফ সরকারের ৩ সন্তানের মধ্যে দিহান সবার ছোট। পরিবারের একটু বেশি আদর পেতো দিহান। তাই তো বাসা ফাঁকা থাকলেই বন্ধু-বান্ধবীদের নিয়ে আসতো সে। তার বিরুদ্ধে এর আগেও বিভিন্ন মেয়েদের সঙ্গে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ করে দিহানের বাসার কেয়ারটেকার মোতালেব বলেন, বাসা ফাঁকা থাকলে মাঝে মাঝে দিহান বন্ধু-বান্ধবীদের নিয়ে বাসায় আসলেও হত্যা বা ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটতে পারে তা তিনি ধারণাও করতে পারেননি। আনুশকা নূর আমিন যেদিন হত্যার শিকার হয় সেদিন মোতালেবের পরিবর্তে কেয়ারটেকার দুলাল দায়িত্ব পালন করছিলেন। দুলাল এখন পলাতক আছেন বলে জানান মোতালেব।

বিপুল অর্থসম্পদের মালিক দিহানের বাবা অবসরপ্রাপ্ত জেলা রেজিস্ট্রার আবদুর রউফ সরকারের ঢাকা ও রাজশাহীতে একাধিক বাড়ি ও ফ্ল্যাট। আবদুর রউফ তিনি তার বড় ছেলে সুপ্তসহ রাজশাহীতে থাকেন। মেঝ ছেলে ও ছোট ছেলে দিহানসহ তার মা থাকেন কলাবাগানের বাসায়।

আরও পড়ুন...
ধর্ষণের পর হত্যা: আনুশকার দাফন সম্পন্ন, হত্যাকারীর দ্রুত শাস্তি চান এলাকাবাসী

ধর্ষণের পর হত্যার শিকার সেই স্কুলছাত্রীর বয়স নিয়ে জটিলতা

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দিহানদের গ্রামের বাড়ী- রাজশাহী জেলার দূর্গাপুর থানার রাতুব গ্রামে, বর্তমানে থাকছে কলাবাগান থানা এলাকায়। অন্যদিকে আনুশকা নূরদের গ্রামের বাড়ী কুষ্টিয়া সদরে। থাকতেন ধানমন্ডি থানায় এলাকায়।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে ধানমন্ডির আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কলাবাগান থানায় ফোন করে জানায়, এক কিশোরীকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় এনেছেন এক তরুণ। কিশোরীর শরীর থেকে রক্ত ঝরছে। খবর পেয়ে নিউমার্কেট অঞ্চল পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার (এসি) আবুল হাসান ওই তরুণকে আটকে রাখার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন। এরপর কলাবাগান থানার পুলিশ দ্রুত হাসপাতালে গিয়ে ওই তরুণকে আটক করে। পরে ওইদিন রাতেই তানভীর ইফতেখার দিহানকে (১৮) আসামি করে ছাত্রীর বাবা আল আমিন আহম্মেদ বাদি হয়ে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

কেএফ/এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
১৪ মাস পর জামিনে মুক্তি পেলেন দানি আলভেজ
সাঁথিয়ায় গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার ৩ যুবক
আর্জেন্টিনায় নারী সাংবাদিককে ধর্ষণের অভিযোগে চার ফুটবলার আটক
পার্কে ঘুরতে নিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার
X
Fresh