• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

বিড়ম্বনা আর প্রতারণার শিকার প্রতিবন্ধীরা(ভিডিও)

এ আর বাদল

  ০৩ ডিসেম্বর ২০২০, ২১:৪৬
ফাইল ছবি

পদে পদে হয়রানি বিড়ম্বনা আর প্রতারণার শিকার প্রতিবন্ধীরা। ভাতা কার্ড করে দেয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেয়া, দিনের পর দিন ঘুরেও সরকারি বরাদ্দের টাকা না পাওয়া। ব্যাংক থেকে উত্তোলন করা টাকার কমিশন নেয়া। ভয় দেখিয়ে সাদা কাগজে স্বীকারোক্তি রেখে দেয়াসহ বহু অনিয়মের অভিযোগ প্রতিবন্ধীদের। তবে সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন সরকার নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে পিছিয়ে পড়া এ জনগোষ্ঠীর জন্য।

রাজধানীর লালমাটিয়ার বাসিন্দা ১৩ বছরের রাণী। প্রতিবন্ধী হওয়ায় সারাক্ষণ মা আগলে রাখেন মুকুটবিহীন এ রাণীকে। রাণীর খরচ নিঃসন্দেহে স্বাভাবিক মানুষের চেয়ে বেশি। কিন্তু ফুটপাতে চা-বিস্কুট বিক্রি করে সে খরচ মেটানো যায় না। তাই অনেকের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। তার কষ্ট প্রতিবন্ধী ভাতা পাইয়ে দেয়ার কথা বলে তিন হাজার টাকার নিয়ে প্রতারক উধাও হয়েছেন। সমাজ সেবা অধিদপ্তরের সুর্বণ নাগরিকের কার্ড পেয়েছে রাণী। কিন্তু টাকা পাওয়া তো দূরের কথা সমাজ সেবা অফিসে ঢুকতে না দেয়ার অভিযোগ করেন রাণীর মা। তিনি বলেন, তিন হাজার টাকা দিয়েছি তা মাইরা গেলো। তারা কয় আজ না কাল করতে করতে দুই বছর হয়ে গেলো।

অবশেষে আরটিভি নিউজ টিম রাণী ও ওর মা নূরজাহান বেগমকে নিয়ে রাজধানী মোহাম্মদপুর বিভাগীয় সমাজ সেবা অফিস ছয় এ গেলে রাণীর টাকা নিয়মিত পরিশোধের আশ্বাস দেন সমাজ সেবা অফিসার শহীদুজ্জামান।

অনেক প্রতিবন্ধী মাসে সরকারের দেয়া ৭৫০ টাকা করে পেলেও এ টাকায় তাদের চলে না। তাই প্রতিবন্ধিতা দেখিয়ে ভিক্ষা করতে হয় অনেককে।

প্রতিবন্ধীরা বলেন, ৭০০ টাকা দিয়ে তো চলে না। সরকার যদি সাহায্য করে তাহলে চলতে পারবো, না হলে চলার মতো ক্ষমতা নাই।

টঙ্গী কলেজ গেট শহর সমাজসেবা অফিসার সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি প্রতিবন্ধীদের টাকা থেকে কমিশন নিয়েছেন।

আরেক প্রতিবন্ধী বলেন, ১৩,৯০০ টাকা উত্তোলন করি এর পর উনি আমাকে কল দেন। উনার কাছে যাওয়ার পর আমার কাছ থেকে ৩,০০০ হাজার টাকা নিয়ে নেন।

পদে পদে হয়রানির কথা জানান, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি আমাদের আজকের না। চাকরির বিষয়টি নিয়ে কয়েকবার রাস্তায় নেমেছিলাম কিন্তু আমাদের সান্ত্বনা দিয়ে রেখে দেয়া হয়। এর দাবি কখনোও পূর্ণ করা হয় না ।

এসব অনিয়মের উত্তর জানতে সমাজ কল্যাণ-মন্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি। তবে প্রতিবন্ধীদের জন্য বরাদ্দ বাড়ানোর কথা বলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব।

জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. আনিসুজ্জামান বলেন, প্রতিবন্ধী কেন্দ্রে এসে যদি যোগাযোগ করে তাহলে তাদের কে জরিপের আওতায় এনে কার্ড প্রদান করা হবে। এবং প্রতি বছর ভাতার পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং তারা এর অধীনে আসবে।

হাত বাড়িয়ে দিলাম এর পরিচালক সৈয়দা মুনিরা ইসলাম বলেন, পুনর্বাসন ও তাদের নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা খুব জরুরি, সে ক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি সবাই এগিয়ে আসলে তাদের সুন্দর নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা সম্ভব।

বগুড়ার টিএমএসএস অটিজম ও প্রতিবন্ধী স্কুল এবং পুনর্বাসন কেন্দ্রের কর্মকর্তা ও শিক্ষক জানান জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সরকারের সমান দৃষ্টি দেয়া উচিৎ।

জিএম/ এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধীরা আমাদের পরিবার ও সমাজেরই অংশ : রাষ্ট্রপতি
প্রতিবন্ধী স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার
প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রাথমিকের ১১৭ পদ সংরক্ষণের নির্দেশ
হনুফাদের ভালোবাসার গল্পটা অন্যরকম! 
X
Fresh