বড় রুই-কাতলা হলেও অর্থপাচারকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না
অর্থপাচারকারীরা যত বড়ই রুই-কাতলা হোক না কেন তাদেরকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট। নির্দেশ দেওয়ার পরও পি কে হালদারের বিরুদ্ধে এখনো গ্রেপ্তারি পরওয়ানা জারি না হওয়া দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন আদালত। দুর্নীতিবাজ যত ক্ষমতাশালীই হোক না কেন, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে বলেও মন্তব্য করেন হাইকোর্ট। আজ বুধবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে পি কে হালদারের দুর্নীতি মামলার শুনানিতে এসব মন্তব্য করেন হাইকোর্ট।
গত ২৬ অক্টোবর কানাডায় পালিয়ে থাকা পি কে হালদারকে গ্রেপ্তারে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছিলো হাইকোর্ট। এর আগে শুনানিতে হাইকোর্ট বলেছেন, দেশটা কি মগের মুল্লুক, কোটি কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে!
বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে আত্মগোপনে থাকা এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদারকে গ্রেপ্তার করতে আন্তর্জাতিক তদন্ত সংস্থা ইন্টারপোটেল সহযোগিতা চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এদিকে দুদক সূত্রে জানা গেছে, পি কে হালদারের বিরুদ্ধে প্রায় ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে দুদকের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। আত্মসাৎ করা অর্থের মধ্যে ৩ হাজার কোটি টাকা গত ১০ আগস্ট দুদকের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে জব্দ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ৩৯টি প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট ৮৩ জনের ব্যাংক হিসাবে এসব অর্থের লেনদেন হয়েছে।
এর আগে গত ৮ জানুয়ারি পি কে হালদারের বিরুদ্ধে ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। মামলার এজাহারে ১ হাজার ৬৩৫ কোটি টাকা পাচারেরও অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে। তবে ২৫ অক্টোবর পি কে হালদার দেশে ফিরছেন বলে জানা যায়। কিন্তু ২১ অক্টোবর হাইকোর্ট জানায় পি কে হালদার দেশে আসার সঙ্গে সঙ্গে তাকে গ্রেপ্তার করতে। পরে আর দেশে আসেননি পি কে হালদার।
কেএফ
মন্তব্য করুন