• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo

হলমার্কের কেলেঙ্কারিতে ফের দুদকের অনুসন্ধান শুরু

আরটিভি নিউজ

  ০১ ডিসেম্বর ২০২০, ১৭:১৪
The ACC investigation started again in the Hallmark scandal
দুদক ও হলমার্কের লোগো।। ফাইল ছবি

৭ বছর স্থগিত থাকার পর বহুল আলোচিত হলমার্ক গ্রুপের ঋণ কেলেঙ্কারি নিয়ে নতুন করে অনুসন্ধান শুরু করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ৮ সদস্যের একটি অনুসন্ধান দল গঠন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কমিটি এই ঋণ কেলেঙ্কারির নন-ফান্ডেড (ঋণ সুবিধা) অংশটি অনুসন্ধান করবে।

আজ মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) দুদক কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক খান বলেন, হলমার্কের নন-ফান্ডেড অংশ অনুসন্ধানের জন্য কমিশনের পরিচালক মীর মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যদিও এটিকে নন-ফান্ডেড বলা হয়েছিল, কিন্তু এর পুরোটাই ফান্ডেড। ইতোপূর্বে দুর্নীতি দমন কমিশন এই অংশের ওপরে একটি মামলাও দায়ের করেছিল।

দুদকের একজন কর্মকর্তা জানান, গত সপ্তাহে আগের ওই কমিটিকে পুনর্গঠন করে নন-ফান্ডেড অংশটির অনুসন্ধান সম্পন্ন করার উদ্যোগ নিয়েছে কমিশন। নতুন এই অনুসন্ধান কমিটির প্রধান হচ্ছেন কমিশনের পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী। অনুসন্ধান দলের অপর সদস্যরা হলেন, উপ-পরিচালক এস এম আক্তার হামিদ ভূঁইয়া, মশিউর রহমান ও সেলিনা আক্তার মনি, সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন ও সিলভিয়া ফেরদৌস এবং উপসহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া এবং সহিদুর রহমান।

নতুন করে অনুসন্ধান শুরুর বিষয়ে দুদকের পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী বলেন, বর্তমানে কমিটি পুনর্গঠনের কারণ হলো, যে ৪১টি ব্যাংক এবং শাখায় এই আর্থিক লেনদেনগুলো হয়েছে, সেখানে জাল-জালিয়াতির কোনও আশ্রয় নেওয়া হয়েছে কিনা, কোনও দুর্নীতি ঘটেছে কিনা, এই বিষয়গুলো পুনরায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা। কমিটি অনুসন্ধান করে যে প্রতিবেদন দাখিল করবে, কমিশন তা পর্যালোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, হলমার্ক গ্রুপ ফান্ডেড ও নন-ফান্ডেড ঋণ সুবিধার অংশ হিসেবে জালিয়াতি করে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিল। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর ২০১২ সালে হলমার্কের বিরুদ্ধে মোট ৩৮টি মামলা করেছিল দুদক। প্রায় সবগুলো মামলার চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে আদালতে। কিন্তু হলমার্ক ২০১০ সাল থেকে ২০১২ সালের মধ্যে নন-ফান্ডেড যে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা ঋণসুবিধা নিয়েছিল, সেটির তদন্ত তখন স্থগিত রাখা হয়েছিল।

আরো জানা গেছে, হলমার্কের ঋণের নন-ফান্ডেড অংশের আওতায় সোনালী ব্যাংকের ব্যাক-টু-ব্যাক ক্রেডিট চিঠি গ্রহণের পরে কমপক্ষে ৩৭টি দেশি ও বিদেশি ব্যাংক হলমার্ক গ্রুপকে ঋণ সুবিধা দিয়েছিল। দুদকের অনুসন্ধান চলাকালে ২০১৪ সালে হলমার্ক গ্রুপের আত্মসাৎ করা অর্থ আদায় করার স্বার্থে বাংলাদেশ ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের মধ্যে বেশকিছু ত্রিপক্ষীয় চিঠি আদান-প্রদান করা হয়। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সেসময় নন-ফান্ডেড অংশের ঋণ আদায়ের সুবিধার্থে দুদকের তদন্ত স্থগিত রাখতে অনুরোধ করে। এছাড়া কমিশনের কর্মকর্তাদের বদলি, পদোন্নতি, অবসরজনিত নানা কারণে অনুসন্ধানটি সেসময় সম্পন্ন করা যায়নি।

কেএফ

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বেনজীরের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে দুদক
বেনজীরের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক
বেনজীর আহমেদের দুর্নীতি অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট
বেনজীরের বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধান চান ব্যারিস্টার সুমন
X
Fresh