কুকুর অপসারণ বন্ধে অভিনেত্রী জয়ার রিট কার্যতালিকা থেকে বাদ
আপাতত কুকুর অপসারণের সিদ্ধান্ত নেই। যদি কখনও অপসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তাহলে রিটকারী অভিনেত্রী জয় আহসানসহ অন্যদের ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে কুকুর অপসারণের বিষয়ে সিন্ধান্ত নেওয়া হবে। আমি দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রের সঙ্গে কথা বলেছি।
আজ সোমবার (২৩ নভেম্বর) অ্যাটর্নি জেনারেল এম এ আমিন উদ্দিন হাইকোর্টকে এসব কথা জানানোয় কুকুর অপসারণ নিয়ে রিট মামলাটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর বেঞ্চ।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সাকিব মাহবুব। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল দেবাশিষ ভট্টাচার্য ও সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল নাসিম ইসলাম।
পরে ব্যারিস্টার সাকিব মাহবুব বলেন, আদালত বলেছেন, যেহেতু অ্যাটর্নি জেনারেল বলছেন সিটি করপোরেশন আপাতত কুকুর অপসারণ করছে না। তাই আমরা মামলাটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিচ্ছি। তবে রিটকারীরা চাইলে আবারও মামলাটি উপস্থাপন করতে পারবেন।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাজধানী থেকে বেওয়ারিশ কুকুর স্থানান্তর করতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
‘অভয়ারণ্য’ নামে প্রাণী কল্যাণ সংগঠনের সভাপতি রুবাইয়া আহমেদ, পিপলস ফর অ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ারের চেয়ারম্যান রাকিবুল হক এমিল ও অভিনেত্রী জয়া আহসান এ রিট আবেদন দায়ের করেন। ব্যারিস্টার সাকিব মাহবুব তাদের পক্ষে এ রিট দায়ের করেন। রিট আবেদনে কুকুর স্থানান্তর ও ডাম্প করার বিষয়ে ডিএসসিসির কার্যত্রক্রমের বৈধতা প্রশ্নে রুল জারির আরজি জানানো হয়েছে। রিটে ডিএসসিসিসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
রিট আবেদনে বলা হয়, ডিএসসিসি কুকুরের সংখ্যা কমানোর জন্য যে অমানবিক প্রকল্প নিয়েছে তার সফলতার কখনই কোনো উদাহরণ নেই। এধরনের অমানবিক প্রকল্প বন্ধের জন্য ও প্রাণিকল্যাণ আইন, ২০১৯ এর অধীন বিধি প্রণয়নের হাইকোর্ট এর নির্দেশনা দেয়া একান্ত প্রয়োজন।
রিট আবেদনে আরো বলা হয়েছে, প্রাণী কল্যাণ আইন-২০১৯ এর ধারা-৭ অনুযায়ী বেওয়ারিশ কুকুরসহ কোনো প্রাণীকে অপসারণ, স্থানান্তরিত ও ফেলে দেওয়া যাবে না। অথচ অভিযোগ রয়েছে ডিএসসিসির মৌখিক আদেশে টিএসসি ও ধানমন্ডি থেকে বেওয়ারিশ কুকুর তুলে নিয়ে মাতুয়াইল ফেলে দেওয়া হয়েছে। এজন্য কুকুর স্থানান্তরের বিষয়ে ডিএসসিসির সিদ্ধান্ত ও কার্যক্রমের বৈধতা রিট আবেদনে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।
কেএফ
মন্তব্য করুন