অভিনেত্রী শমী কায়সারের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ১০ ডিসেম্বর
অভিনেত্রী শমী কায়সারের বিরুদ্ধে দায়ের করা মানহানি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১০ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। সাংবাদিকদের ‘চোর’ বলার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়েছিলো। আজ রোববার (১৫ নভেম্বর) এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এ কারণে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমান প্রতিবেদন দাখিলের নতুন দিন ধার্য করেন। আদালতের পেশকার রাকিব চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর মামলার বাদী নুজহাতুল হাসানের নারাজির আবেদনের প্রেক্ষিতে পিবিআইকে পুনরায় মামলা তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। এর আগে ওই বছরের ২৪ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুব রহমান এ মামলায় বাদীর অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পাননি বলে আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই দিনই বাদী আদালতে ওই প্রতিবেদনের ওপর অনাস্থা (নারাজি) প্রকাশ করে পুনরায় তদন্ত প্রতিবেদনের আবেদন করবেন বলে আদালতকে জানান।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩০ এপ্রিল স্টুডেন্ট জার্নাল বিডি’র সম্পাদক নুজহাতুল হাসান দণ্ডবিধির ৫০০ ধারায় অভিনেত্রী শমী কায়সারের বিরুদ্ধে মানহানির এই মামলা দায়ের করেন। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামির আচরণ বাদী ও দেশের সাংবাদিকসহ সমাজের অন্যান্য মহলের জন্য অত্যন্ত মানহানিকর ও অপমানজনক। তার আচরণের বিষয়টি অনলাইন গণমাধ্যমে প্রচারিত হওয়ায় বাদী ও সাংবাদিকদের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। সাংবাদিকদের চোর আখ্যায়িত করে দেশ ও জাতির কাছে বাদীর ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন আসামি।
গত বছরের ২৪ এপ্রিল জাতীয় প্রেস ক্লাবে ই-কমার্সভিত্তিক পর্যটনবিষয়ক সাইট ‘বিন্দু ৩৬৫’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শমী কায়সারের দু’টি স্মার্টফোন চুরি হয়। ওই অনুষ্ঠানে ৫০ জনের মতো ফটোসাংবাদিক, ভিডিও ক্যামেরাম্যানসহ শতাধিক লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
কেএফ
মন্তব্য করুন