সংসদের সামনেই ডেঙ্গুর লার্ভা, দুর্গন্ধে পরিবেশ দূষণ (ভিডিও)
দেশের দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম জাতীয় সংসদ ভাবন। গল্প-আড্ডা কিংবা বিনোদনের স্থান হিসেবে অনেকেই বেছে নেন সংসদ ভবন এলাকা। রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পাশে অবস্থিত এই ভবন ঘিরে প্রতিদিন সকাল থেকে জমায়েত হন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ।
চাকরিজীবী কিংবা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী গন্তব্যে যাওয়ার সময় অনেকেই বিশ্রাম নেন এই স্থানটিতে। কারও কারও এমন অভ্যাস আছে নিয়ম করে বকুল গাছতলায় বসে প্রতিদিন এক কাপ চা পান না করলে তৃপ্তি হয় না।
তবে আজকাল সংসদ ভবনের সামনে দুই পাশে ময়লা-আবর্জনায় ভরে থাকে। পলিথিন, প্লাস্টিক জাতীয় বর্জ্য, বাদামের খোসা, খাবারের প্যাকেট এদিক ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে। আবার কোনো কোনো জায়গায় মাসের পর মাস পানি জমে আছে। যেখানে লাখ লাখ ডেঙ্গুর লার্ভা জন্ম নিচ্ছে। সবচেয়ে বড় যে অসুবিধায় পড়তে হয়, তা হলো সংসদ ভবনের পূর্ব দিকে অর্থাৎ খেজুর বাগান সংলগ্ন ও পশ্চিম দিকে অর্থাৎ আড়ং সংলগ্ন পাশে মানুষের প্রসবের দুর্গন্ধ।
সরেজমিনে বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, উপায়হীন হয়ে প্রস্রাব করতে হয়। আশপাশে বাথরুম থাকলে বিকল্প পথ খুঁজে নিতেন তারা।
২০ বছর ধরে সংসদ ভবনের সামনে দিয়ে যাতায়াত করেন এমন একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সংসদের সামনে অনেকে বিশ্রাম নেন। প্রাকৃতিক কাজকর্ম চাপ দিলে বেশ বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।
কলা বিক্রতা আব্দুল আওয়াল বলেন, আমি নামাজকালাম পড়ি। সকালে কলার ঝুড়ি নিয়ে এই এলাকা দিয়ে প্রায় হেঁটে হেঁটে যাই। হঠাৎ প্রসব চাপ দিলে লোকজন থাকায় অনেকের মতো এখানে বসতে পারি না। অন্যদিকে বসলেও পানি খরচ করার মতো কোনো ব্যবস্থা নাই। একটা বাথরুম তৈরি হলে বিষয়টা ভালো হতো।
সংসদ ভবন এলাকায় ঘুরতে আসা বেশ কয়েকজন নারীর সঙ্গে কথা হয়। সাবিকুন নাহার ও লীনা দুই বান্ধবী বলেন, পুরুষেরা চাইলে জরুরি অবস্থায় অন্তত প্রস্রাবটা বসে-দাঁড়িয়ে রাস্তার দুই পাশে সারতে পারেন। মেয়েদের হয় করুন অবস্থা।
অনেকেই সংসদ ভবন সংশ্লিষ্ট এলাকায় পাবলিক টয়লেট নির্মাণের দাবি জানান। এছাড়া দর্শনীয় স্থান হিসেবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানান।
জিএ/এমকে
মন্তব্য করুন